সম্প্রতি “মমতাজের বাড়িতে অবৈধ টাকার গোদাম” ক্যাপশনে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২০ সালে ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার এনামুল হক ও তার ভাই রূপণ ভূঁইয়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৩ ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা উদ্ধার করে। উদ্ধার অভিযানের সেই ভিডিওটি বর্তমানে “মমতাজের বাড়িতে অবৈধ টাকার গোদাম” ক্যাপশনে ভাইরাল হয়েছে। ব্যবহৃত ক্যাপশনটির কারণে জনগণ বিভ্রান্ত হয়ে ভাবছে এমপি মমতাজের বাড়িতে র্যাবের এই অভিযান। ২০২০ সালের ভিডিওকে নতুন করে প্রচার করার কারণে ফ্যাক্টওয়াচ একে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান: ভিডিওটির বিস্তারিত অংশে গিয়ে দেখা যায় তৎকালীন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, “এনামুল হক ও তার ভাই রূপণ ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৩ আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ কোটি নগদ অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে”। ভিডিওটির ১১ মিনিটের অংশে দেখা যায়, র্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্ণেল রাকিবুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে এনামুল হক ও তার ভাই রূপণ ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাওয়া নগদ অর্থ ও সম্পত্তির তথ্য জানাচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড সার্চে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে যুগান্তর পত্রিকা থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির শিরোনামে দেখা যায় এনু-রুপনের ‘টাকার গোডাউন’ অভিযান: সিন্দুকে ২৭ কোটি টাকা।
ভিডিওর শুরুতে “মমতাজ ভিলা” নামে একটি বাড়ির নেমপ্লেট দেখা যায়। কিন্তু এই বাড়িটি এমপি মমতাজের নয় বলে জানা গেছে। ফলে, প্রতিবেদনে “মমতাজ” এর নামোল্লেখ পাঠককে বিভ্রান্ত করছে, এবং তারা একে এমপি মমতাজের বাড়ি ধরে নিয়ে মন্তব্য করছে। সঙ্গত কারণে উক্ত ক্যাপশনে ভাইরাল ভিডিওগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?