সম্প্রতি “মহানআল্লাহপাকেরকুদ্রতযেকতঅসিম।মসজিদটিনদীরপানিরনিচথেকেউপরেউটিয়েদিলেন“ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেভাইরাল হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নদী ভাঙনে একটি ভবনের বিলীন হবার দৃশ্য কেউ একজন ভিডিওচিত্রে ধারণ করেছিল। পরবর্তীতে ভিডিওটি উল্টো করে চালিয়ে ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে। যে কারণে পানিতে বিলীন হওয়া ভবনটি দেখে মনে হয়েছে, যেন তা আবার উপরে ভেসে উঠছে। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি বিকৃত ভিডিও, যেখানে রিভার্স সাইকেলে একটি ভিডিও চালিয়ে মিথ্যা দাবি করা হয়েছে।
বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে মূল ভিডিওচিত্রটি পাওয়া যায়। ভিডিওচিত্রটি দেখুন এখানে। পরবর্তীতে এই ভিডিওটিই উল্টো করে চালিয়ে ভূয়া দাবি করা হয়েছে।
তবে নদী থেকে মসজিদ ভেসে উঠার ঘটনাটি কিভাবে সম্ভব হয়েছে?
ভিডিওকে রিভার্স মুডে চালানো খুব কঠিন কোনো প্রযুক্তি নয়। ভিডিও সম্পাদনার জনপ্রিয় সফটওয়্যার প্রিমিয়ার প্রো দিয়ে এধরণের ভিডিও খুব সহজে তৈরি করা যায়। সুতরাং ভাইরাল ভবনটি কোনো কুদরতে নদীর ভিতর থেকে উপরে ভেসে উঠে নি। বরং নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া দৃশ্যটিই পরবর্তীতে সফটওয়্যারের সাহায্যে বিকৃত করা হয়েছে। এছাড়া এই ভবনটি কোনো মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা কারো বাড়ি কিনা সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, ভাইরাল ভিডিওটি একই ক্যাপশনে ১৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে Husain Motin নামের ফেসবুক একাউন্ট থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২০ এবং ২০২১ সালেও ভিডিওটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল হয়েছে।
সুতরাং প্রযুক্তির সাহায্যে বিকৃত করা ভিডিওগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিকৃত” চিহ্নিত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?