সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি পোস্ট ও ফটোকার্ডে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উক্তি দাবিতে উল্লেখ করা হচ্ছে "ভারতের গাদ্দারির দিন শেষ। বাংলাদেশের যেকোনো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নিবে।” তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যম থেকে ভারতকে নিয়ে ড. ইউনূসের সরাসরি এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ফেসবুকে শেয়ার হওয়া দাবিটি মিথ্যা।
ফেসবুকে শেয়ার হওয়া পোস্টগুলোর উৎস এবং সত্যতা যাচাই করতে ফ্যাক্টওয়াচ শুরুতেই কিছু প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে, উল্লেখিত দাবি নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত বা আন্তর্জাতিক অন্য কোনো মূলধারার সংবাদমাধ্যমে কোনো ধরণের তথ্য বা প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় নি। বরং, ভারত প্রসঙ্গে আমরা ড. ইউনূসের একাধিক সাক্ষাৎকারের ভিডিও খুঁজে পাই। যার মধ্যে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত হওয়া ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, প্রতিবেশী দেশ হওয়ার সুবাদে ভারত ও বাংলাদেশের উভয়ের উভয়কে প্রয়োজন এবং ভালো সম্পর্ক রাখা ছাড়া কোনও দেশেরই অন্য কোনও পন্থা নেই।
অন্যদিকে, গত ১৮ অক্টোবর ২০২৪ এ প্রথম আলোর ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কটা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে হবে। সুসম্পর্ক হতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় নাই। তাদেরও দরকার, আমাদেরও দরকার।
অতএব, পরিষ্কারভাবেই বুঝা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হওয়া দাবিটি ভিত্তিহীন ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh