ময়মনসিংহে সম্প্রতি হিন্দুদের বসতবাড়িতে স্থানীয়রা হামলা-ভাংচুর ও ধর্ষণ চালিয়েছে দাবিতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহের ‘গিরিপুরে’ (গৌরীপুর) এ ঘটনা ঘটেছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ময়মনসিংহে হিন্দুদের ওপর হামলার কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি মূলত গত নভেম্বরের, ভারতের বিহার রাজ্যের পুর্ণিয়া জেলার।
ময়মনসিংহে সম্প্রতি হিন্দুদের বসতবাড়িতে স্থানীয়রা হামলা-ভাংচুর ও ধর্ষণ চালিয়েছে দাবিতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহের ‘গিরিপুরে’ (গৌরীপুর) এ ঘটনা ঘটেছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ময়মনসিংহে হিন্দুদের ওপর হামলার কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি মূলত গত নভেম্বরের, ভারতের বিহার রাজ্যের পুর্ণিয়া জেলার।
ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চে ”राजवंशी जागरण”(Rajvanshi Jagran) নামের একটি ফেসবুক পেজে হুবহু একই ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের কথোপথনে যে ভাষা ব্যবহার করছিলেন, সেটি বাংলা ভাষা নয় বলে প্রতীয়মান হয়।
নেপাল থেকে পরিচালিত পেজটিতে ভিডিওটি গত ৮ নভেম্বর পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির ক্যাপশনে নেপালি ভাষায় লেখা, ‘গতকাল কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে?’
পরে ভিডিওটির কমেন্টবক্স থেকে ধারণা পাওয়া যায়, ঘটনাটি বিহারের পূর্নিয়ার বাইসা ব্লকে।
এসব কমেন্টের সূত্রে ‘Raghib Bharti‘ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৮ নভেম্বর, ২০২৪ এ একই ভিডিওর দীর্ঘ একটি সংস্করণ পাওয়া যায়। ভিডিওটি থেকে জানা যায়, বিহারের পূর্ণিয়ায় এক নারী তার তিন সন্তানসহ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত নারীর নাম বাবিতা দেবী। নিহত তিন সন্তানের নাম রিয়া, সুরজ ও সুজিত।
পরে আরও খুঁজে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে এ ঘটনার একটি বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ভারতের বিহারের পূর্ণিয়ার বাইসা ব্লকের রাউতা থানার কিলপাড়া গ্রামে এক মা তার তিন সন্তানসহ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, মৃত ওই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন । মৃতদের মধ্যে আছেন—বাবিতা দেবী (৩২), রিয়া (৮), সুরজ (৫), এবং সুজিত (৩)।
এসব তথ্য থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, প্রায় এক মাস আগের ভারতের বিহারের ঘটনাকে বাংলাদেশের ময়মনসিংহের সাম্প্রতিক সময়ের সাম্প্রদায়িক ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। ফলে ফ্যাক্টওয়াচ ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh