হিরো আলমের নতুন জাতীয় সংগীত লেখার দাবিটি মশকরা

132
হিরো আলমের নতুন জাতীয় সংগীত লেখার দাবিটি মশকরা
হিরো আলমের নতুন জাতীয় সংগীত লেখার দাবিটি মশকরা

জহিরুল ইসলাম 

Published on: [post_published]

যা দাবি করা হচ্ছে: আরটিভির ফটোকার্ডের আদলে তৈরি করা একটি কার্ডে দাবি করা হচ্ছে, হিরো আলম নতুন জাতীয় সংগীত লিখে ড. ইউনূসের বাসভবনে যাচ্ছেন, উদ্দেশ্য গেয়ে শোনানো। 

যা পাওয়া যাচ্ছে: প্রকাশিত ফটোকার্ডটি আরটিভির নয়। তাছাড়া এ জাতীয় খবর কোন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া যায়নি। মূলত ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে আরটিভির নামে ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

 

আলোচ্য এ ফটোকার্ডটিতে তারিখ উল্লেখ করা আছে ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪। এছাড়া এই  ফটোকার্ডে নিচের অংশে ‘বিস্তারিত কমেন্টে’ এর পাশে ছোট করে ইংরেজিতে “সার্কাজম” শব্দটি লেখা আছে। যার বাংলা অর্থ হচ্ছে মশকরা।

১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে আরটিভির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটি নকল বলে উল্লেখ করা হয়। উক্ত পোস্টে জানানো হয় আরটিভির নামে ছড়ানো নকল ছবিটি নকল, এটি তাদের তৈরি নয়।

 

আরটিভির অফিশিয়াল ফটোকার্ডের সাথে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডের বাকগ্রাউন্ড স্টাইলের মিল নেই। আরটিভির অফিশিয়াল ফটোকার্ডে থাকা ছবি ট্রাপিজিয়াম আকৃতির হয়। অন্যদিকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডের ছবিটি আয়তাকার।

তাছাড়া, আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম নতুন জাতীয় সঙ্গীত লিখে মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনে যাচ্ছেন – এমন খবর কোন গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। হিরো আলমের ফেসবুক একাউন্ট থেকেও নতুন জাতীয় সঙ্গীত লেখার কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত একটা খবর থেকে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে কিছু ভাবছে না। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না। বিতর্ক সৃষ্টি করে— এমন কিছু অন্তর্বর্তী সরকার করবে না।

 

যুগান্তর ছাড়াও দৈনিক ইত্তেফাক, ঢাকা পোস্ট, দৈনিক বণিক বার্তা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সিদ্ধান্ত:

“নতুন জাতীয় সংগীত লিখে ড. ইউনূসের বাসভবনে যাচ্ছেন হিরো আলম, উদ্দেশ্য গেয়ে শুনানোর” শিরোনামে প্রকাশিত ফটোকার্ডটি আরটিভির নয়। তাছাড়া এ জাতীয় খবর কোন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া যায়নি। ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে আরটিভির নামে ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত শিরোনামে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া আরটিভির ফটোকার্ড সম্বলিত পোস্টগুলো “স্যাটায়ার” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.