সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, কানাডার টরন্টো শহরে বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসের ছবি বিলবোর্ডে প্রদর্শিত হচ্ছে। তবে, ফ্যাক্টওয়াচ রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে যে, উক্ত পোস্টে ব্যবহৃত বিলবোর্ডের টেমপ্লেটটি ইন্টারনেটে খুবই সহজলভ্য এবং যে কেউ ঐ টেমপ্লেট ব্যবহার করে ইচ্ছামতো ছবি বসিয়ে নিয়ে তাদের পণ্য কিংবা সেবার প্রচারণা চালাতে পারেন। অতএব, এটা এখন স্পষ্ট যে, সাকিব এবং লিটনের ছবিটি এডিট করে ঐ বিলবোর্ডের টেমপ্লেটটির উপর বসিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লীগ খেলতে সাকিব এবং লিটন বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ছবিটির শিরোনামকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ছবিটির যথাযথতা যাচাই করতে আমরা উক্ত ছবিটি নিয়ে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি এবং একাধিক ওয়েবসাইটে (১২৩৪) ঐ ছবিটিতে ব্যবহৃত বিলবোর্ডটির অনুরূপ বেশকিছু বিলবোর্ড খুঁজে পেয়েছি যা আদতে টেমপ্লেট হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার প্রচারণা চালাচ্ছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। মূলত, ঐ একই টেমপ্লেটটি ব্যবহার করে সাকিব ও লিটনের ছবি বসিয়ে সেটা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এধরণের কোন বিলবোর্ডের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাস গত ১৮ জুলাই ২০২৩ এ কানাডা গেছেন গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লীগ খেলার জন্য। সাকিব খেলবেন মন্ট্রিয়াল টাইগার্স দলের জার্সি গায়ে এবং লিটন সারে জাগুয়ার্স এর হয়ে খেলবেন। দেখুন এখানে এবং এখানে। যেহেতু তারা দুজনই একই লীগে প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলবেন এবং উক্ত দুটো দল একে অপরের মুখোমুখি হবে সেহেতু, ম্যাচের সময়সূচি, দুই দলের লোগো, এবং সাকিব-লিটনের ছবি ব্যবহার করে ব্যানার বানিয়ে অনলাইনের পাওয়া বিলবোর্ডের টেমপ্লেটে বসিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা অস্বাভাবিক নয়। তবে সেটিকে বাস্তবিক বিলবোর্ডের ছবি দাবি করা নিতান্তই অপপ্রচার। শহরে স্থাপিত কোনো বিলবোর্ডে সাকিব-লিটনের ছবিসহ এমন কোনো বিলবোর্ড স্থাপিত হবার ঘটনা ঘটেছে এমন তথ্য মূলধারার মাধ্যমে পাওয়া যায় নি।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ছবিটির শিরোনামকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।