গণমাধ্যমের বরাতে ১৭ জুলাই কোটা আন্দোলনে প্রাণহানির ভুয়া দাবি

52
গণমাধ্যমের বরাতে ১৭ জুলাই কোটা আন্দোলনে প্রাণহানির ভুয়া দাবি
গণমাধ্যমের বরাতে ১৭ জুলাই কোটা আন্দোলনে প্রাণহানির ভুয়া দাবি

Published on: [post_published]

যা দাবি করা হচ্ছে – মূলধারার কিছু গণমাধ্যম (যেমন দ্য ডেইলি স্টার, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর) এর বরাত দিয়ে দাবি করা হচ্ছে যে সারাদেশে ১৭ জুলাই তারিখে ৬ জন বা ১৫ জন ছাত্র নিহত হয়েছেন।

অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছে – উক্ত গণমাধ্যমে, বা অন্য কোনো গণমাধ্যমে আজ চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

গুজবের উৎস

চ্যানেল ২৪ এর বরাতে ১৫ জন নিহতের দাবিযুক্ত কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

দ্য ডেইলি স্টারের বরাতে ৬ জন শিক্ষার্থীর প্রাণহানির কয়েকটি দাবি দেখতে পাবেন এখানে , এখানে

যেসকল পোস্টে এসকল দাবি করা হচ্ছে, সেখানে কেবলমাত্র এই দাবীটুকুই লিখিত স্ট্যাটাস আকারে পোস্ট করা হয়েছে। উক্ত গণমাধ্যমের সংশ্লিষ্ট খবরের কোনো লিংক বা স্ক্রিনশট দেওয়া হয়নি।


ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এর ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে ১৫ জন প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছেনা।

অনুরূপভাবে দ্য ডেইলি স্টারের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে ৬ জন প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

এছাড়া, ৭ই জুলাই রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে দ্য ডেইলি স্টার তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, দ্য ডেইলি স্টারের নামে ছড়ানো এই সংবাদ ভুয়া। এ ধরনের কোনো সংবাদ দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশ করেনি ।

দেশের অন্যান্য গণমাধ্যমে অনুসন্ধান করেও আজ, ১৭ই জুলাই তারিখে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে কারো প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি । প্রসঙ্গত উল্লেখ, গত ১৬ই জুলাই এই আন্দোলনে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ৬ জন নিহত হয়েছিল। তবে আজ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৩০) মূলধারার কোনো সরকারি ( যেমন বাসস, বিটিভি), বেসরকারি ( যেমন প্রথম আলো, নিউ এজ) বা বিদেশী (যেমন বিবিসি বাংলা,ডয়েশে ভেলে বাংলা) কোনো গণমাধ্যমে প্রাণহানির কোনো খবর ফ্যাক্টওয়াচ খুঁজে পায়নি।

সার্বিক বিবেচনায় প্রাণহানি সংক্রান্ত দাগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে ।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.