বন্যার এই ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ের নয় 

123
বন্যার এই ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ের নয় 
বন্যার এই ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ের নয় 

মোহাম্মদ আরাফাত

Published on: [post_published]

“নোয়াখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা” দাবিতে কিছু ছবি এই মূহুর্তে সামাজিক মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত নোয়াখালীর বন্যার নয়। একটি ছবি ২০২৪ সালের জুন মাসে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বন্যার সময় তোলা হয়েছিল। অপরটি ২০২০ সালের জুন মাসে ভারতের আসামের একটি জেলায় সংঘটিত বন্যার সময় ধারণ করা হয়েছিল। যেহেতু ছবিগুলো সাম্প্রতিক বন্যার নয়, সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সেগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট পোস্টের দাবিকে “বিভ্রান্তিকর” বলে সাব্যস্ত করছে। এই রকম কয়েকটি পোস্টের নমুনা দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে

 

নোয়াখালীতে সাম্প্রতিক বন্যার ছবি দাবি করে যে ছবিগুলো প্রচার করা হচ্ছে সেগুলোর উৎস রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান পদ্ধতিতে খুঁজে দেখা গেছে, একটি ছবি গত জুন মাসে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে তোলা হয়েছিল। আরটিভি নিউজ, দৈনিক বাংলা, নিউজ বাংলা টুয়েন্টিফোরের মতো কয়েকটি বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যম থেকে প্রকাশিত খবরে আমাদের আলোচিত ছবিটির অনুরূপ একটি ছবি পাওয়া গেছে। প্রত্যেকটি খবরই ২১ জুন এবং ২২ জুন ২০২৪ এর মাঝে প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই হিসেবে আলোচিত ছবিটি নোয়াখালীর সাম্প্রতিক বন্যার সময়কার নয়। 

Credit: Dainik Bangla

অপর ছবিটির উৎস কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাওয়া গেছে। দি গার্ডিয়ান, চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, প্রথম আলো ইংলিশ, দি ইকোনমিক টাইমস, স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল, টাইমস অব ইন্ডিয়া এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলোতে আমাদের আলোচিত ছবিটির অনুরূপ একটি ছবি পাওয়া গেছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, বন্যার পানিতে একটি ঘর অর্ধ-নিমজ্জিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, আলোচিত ছবিটি ২০২০ সালের জুন মাসে ভারতের আসামের একটি জেলায় সংঘটিত বন্যার সময় ধারণ করা হয়েছিল। ফলে ছবিটি কোনভাবেই সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালীর বন্যার ছবি নয়।

Credit: The Guardian

অতএব, উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে, ভিন্ন সময় এবং স্থানের ছবিকে নোয়াখালীতে সাম্প্রতিক বন্যার ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভিন্ন সময় এবং স্থানের ছবি সংবলিত পোস্টগুলোকে বিভ্রান্তিকর বলে সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.