সাত বছর আগের ভিডিওকে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যার ভিডিও দাবি

38
সাত বছর আগের ভিডিওকে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যার ভিডিও দাবি
সাত বছর আগের ভিডিওকে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যার ভিডিও দাবি

Published on: [post_published]

“পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে”- শিরোনামে সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ক একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে এটি সাম্প্রতিক বন্যার ভিডিও নয়। ভিডিওটি সাত বছর পুরনো। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের ভিন্ন একটি স্থানের বন্যার ভিডিও এটি।

 

ভিডিওসহ লিঙ্ক দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানের বেলুচিস্থানের বন্যা পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে বন্যায় পানির স্রোতে একটা গাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং দ্রুততার সাথে গাড়িতে থাকা মানুষ গাড়ি থেকে বের হচ্ছে।

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

ভাইরাল ভিডিও থেকে নেয়া স্থিরচিত্রের সাহায্যে অনুসন্ধান করা হলে, ডেইলি মোশনের সাত বছর আগের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। “Flood in Chitral” শিরোনামে পাকিস্তানের গণমাধ্যম “ARY NEWS” এর বরাতে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়।

 

পরবর্তীতে উক্ত গণমাধ্যমের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজেও ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ এ এই ভিডিওটিসহ একটি পোস্ট পাওয়া যায়। তবে মূল লিংকটি অকার্যকর ছিলো।

এছাড়া নিউজ মোবাইলের একটি প্রতিবেদন থেকে ডেইলিমেইলের ২০১৬ সালের একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে এই একই ভিডিওটি দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে বলা হচ্ছে, ভিডিওটি পাকিস্তানের কারাকরাম হাইওয়ে থেকে নেয়া। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই হাইওয়েটি পাকিস্তানের আবতাবাদ জেলা থেকে চীনের কাসগার শহর পর্যন্ত বিস্তৃত।

ভিডিওতে দেখানো জায়গাটির স্থান নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা না গেলেও এটি নিশ্চিত যে এটি পাকিস্তানেরই ভিডিও এবং ভিডিওটি কমপক্ষে সাত বছর পুরনো।

উল্লেখ্য, গত দুই মাস ধরে চলমান বন্যায় পাকিস্তানের প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বন্যা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে বিবিসির এই প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

অর্থ্যাৎ, সাত বছর পুরনো এই ভিডিওকে বর্তমানে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যার বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি পরিষ্কার যে এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক বন্যার কোনো ভিডিও নয়। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এমন ক্যাপশনসহ ভিডিওটিকে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.