সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রবাসে কর্মীরা তাদের ন্যায্য বেতন প্রাপ্তি এবং দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে তা পাঠানোর কথা বলছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে এটি সাম্প্রতিক ভিডিও যেখানে প্রবাসীরা হুন্ডি নয়, বরং ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসীদের কাছে রেমিট্যান্স না পাঠানোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়। প্রবাসে শ্রমিক পাঠায় এমন একটি এজেন্সির ফেসবুক পেজ থেকে এ বছরের ১৬ এপ্রিল ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিলো। পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে দাবি করায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে ‘বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিচ্ছে।
বিভ্রান্তির উৎস:
২৮ জুলাই বিভিন্ন প্রোফাইল এবং পেইজ থেকে পোস্টটি শেয়ার করা হয়। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান:
উক্ত ভিডিও ক্লিপ থেকে স্থিরচিত্র ধারণ করে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে First Class Group নামক একটি পেইজ থেকে এ বছর ১৬ এপ্রিল “আলহামদুলিল্লাহ জেদ্দা সাইডের বেতন দিলাম” ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিলো। তাদের পেজ থেকে জানা যাচ্ছে, First Class Group সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকপাঠানোর একটি এজেন্সি। তাদের কর্মীদের হাতে বেতন দেয়ার পর নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণস্বরূপ ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিলো পেজ থেকে।
চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শতাধিক হতাহতের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রাখার একটা আলাপ ওঠে। অনেক জায়গায় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর কথাওবলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুরোনো একটি ভিডিওকে প্রবাসীদের ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠানোর সাম্প্রতিক ভিডিও বলে চালাবার চেষ্টা করা হয়েছে।
সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।