সম্প্রতি “ওমিক্রন আমাদের কাছে চিড়ামুড়ির মতো নিত্যদিনের খাবার।“ ক্যাপশনে একটি ছবি ঔষধের ছবি ফেসবুকে প্রচুর শেয়ার হয়েছে। ছবিতে দৃশ্যমান “ওমিক্রন ২০” মূলত একটি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ। করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া নতুন সংস্করণের নাম দেয়া হয়েছে “ওমিক্রন”। এর সাথে উক্ত ঔষধটির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট হিসেবে ফেসবুকে পোস্ট করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজে শেয়ার হওয়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
সম্প্রতি “ওমিক্রন আমাদের কাছে চিড়ামুড়ির মতো নিত্যদিনের খাবার।“ ক্যাপশনে ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে যে ঔষধটি দেখা যাচ্ছে সেটির নাম “ওমিক্রন ২০” যা মূলত একটি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ। গ্যাস্ট্রিক আলসারসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী এটি ব্যবহারযোগ্য। নিপ্রো জেএমআই ফার্মার ওয়েবসাইটে ঔষধটি সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন এখানে।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া নতুন সংস্করণের নাম “ওমিক্রন”। এর সাথে উক্ত ঔষধটির কোনো সম্পর্ক নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি অন্তত ৩২টি মিউটেশন (জিনগত গঠনের পরিবর্তন) ঘটিয়েছে – যার বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.১.৫২৯। নতুন এই সংস্করণটি নিয়ে বিজ্ঞানীরা যে কারণে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন তা হলো: এটি অত্যন্ত দ্রুত এবং সহজে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এড়াতে পারে – যার ফলে এর বিরুদ্ধে টিকা কম কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার এক প্রদেশে এর সংক্রমণে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই আফ্রিকার অন্যান্য দেশ এবং ইউরোপ ও এশিয়ায় এটি শনাক্ত হয়েছে।
ভাইরাল পোস্টে দৃশ্যমান “ওমিক্রন ২০” মূলত একটি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ। কোভিড জীবাণুর নতুন এই সংস্করণটির সাথে উক্ত ঔষধটির কোনো সম্পর্ক নেই। সামগ্রিক প্রকাশভঙ্গির জন্য ফ্যাক্টওয়াচ একে “কৌতুক” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?