সম্প্রতি ‘সিগারেটের গোডাউন পুড়ে ছাই, অক্ষত পবিত্র কোরআন’ শিরোনামে একটি খবর ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, ময়মনসিংহের নান্দাইলে পৌর সদরের চণ্ডীপাশা সমিল এলাকায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির গোডাউনসহ ছয়টি ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে অগ্নিকাণ্ডের খবরটি প্রায় ২ বছর আগের, ফলে দিন-তারিখ উল্লেখ না-করে নতুনভাবে এর প্রচার বিভ্রান্তিকর।
একাধিক অনলাইন পোর্টালের বরাত দিয়ে ‘সিগারেটের গোডাউন পুড়ে ছাই, অক্ষত পবিত্র কোরআন’ শিরোনামে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানেএখানে।
তথ্য যাচাই
ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত প্রতিবেদনের কিছু অংশ গুগল সার্চ করে ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম দৈনিকযুগান্তর-এর “নান্দাইলে গোডাউন পুড়ে ছাই, অক্ষত পবিত্র কোরআন-জায়নামাজ” শীর্ষক প্রতিবেদনটি শনাক্ত করে। মূলত যুগান্তর-এর এই প্রতিবেদনটি হুবহু কপি করে সম্প্রতি পুনর্প্রকাশ করেছে কিছু অনলাইন পোর্টাল।
যুগান্তরের প্রতিবেদনে যা বলছে
৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখের উল্লেখিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌর সদরের চণ্ডীপাশা সমিল এলাকায় সোমবার দিবাগত রাতে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির গোডাউনসহ ছয়টি ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। বিস্তারিত পড়ুন এখানে। এছাড়া ফ্যাক্টওয়াচ আবুল খায়ের গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করে উক্ত অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি এবং এর সময়কাল নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, দৈনিক যুগান্তর উপরোক্ত ঘটনায় পবিত্র কোরআন ও জায়নামাজ অক্ষত থাকার একটি ছবি প্রকাশ করেছিল, যেটি সাম্প্রতিক ভাইরাল পোস্টগুলোও ব্যবহার করেছে। ফ্যাক্টওয়াচ অবশ্য কোরআন এবং জায়নামাজ অক্ষত থাকার দাবিটি যাচাই করে নি, যেহেতু দু’বছর পর এ বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা খুবই দুরূহ। কিন্তু একটা দু’বছর আগের খবর নতুনভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় জনসাধারণ অগ্নিকাণ্ডের সময়কাল নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্ত হবে। তাই এটুক বিবেচনায় এসব পোস্টকে আমরা বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করেছি।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?