আইসিইউতে রোগীকে ধর্ষণের ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় 

14
আইসিইউতে রোগীকে ধর্ষণের ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়  আইসিইউতে রোগীকে ধর্ষণের ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় 

Published on: [post_published]

সম্প্রতি ফেসবুকে আইসিইউতে একজন রোগীকে ধর্ষণের খবরের একটি পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে এটি বাংলাদেশের ঘটনা। তবে স্থানীয় এবং ভারতীয় গণমাধ্যম অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে আইসিউতে রোগীকে ধর্ষণের ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, বরং ভারতের রাজস্থানের আলওয়ার জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ঘটনা। যে দুটো সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড ব্যবহার করে ঘটনাটি বাংলাদেশের বলে প্রচার করা হচ্ছে সে ফটোকার্ডগুলোর মূল প্রতিবেদনে একে ভারতের ঘটনা বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ফটোকার্ডে স্থানের নাম উল্লেখ না করায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

বিভ্রান্তির উৎস

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিক থেকে পোস্টটি ফেসবুকে ছড়াতে থাকে। বেশিরভাগ পোস্টে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ও জুম বাংলা নিউজের ফটোকার্ড সংযুক্ত থাকলেও ফটোকার্ড ছাড়াও এ সংবাদ পোস্ট করা হয়েছে বাংলাদেশের ঘটনা দাবি করে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

 

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান 

পোস্টের সাথে সংযুক্ত ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি এবং জুম বাংলা নিউজের ফটোকার্ডের মূল প্রতিবেদন পড়ে জানা যাচ্ছে, ভারতের রাজস্থানের আলওয়ার জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী একজন নারী। চেতনানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করে একজন পুরুষ নার্স তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারির। 

এ ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের দৈনিক দেশ রূপান্তর, দৈনিক যুগান্তরযমুনা টিভি নিউজও নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এছাড়া ভারতের প্রখ্যাত পত্রিকা আনন্দবাজার এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকেও ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। 

দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে সন্ধান করে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে পাওয়া যায় নি। তবে ঢাকা ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে কুমিল্লার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ১৭ বছরের একজন নারী কলেজ শিক্ষার্থী হাসপাতালের একজন ওয়ার্ডবয়ের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয়কে বহিষ্কার করে। 

সুতরাং ভারতের ঘটনাকে বাংলাদেশের বলে প্রচার করে ফেসবুকে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে। 

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.