‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফুটবল খেলোয়াড় কিংবদন্তী পেলে মারা গেছেন’ – এমন একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে ।ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, কোলন ক্যান্সার আক্রান্ত পেলে শ্বসনতন্ত্রের ইনফেকশন নিয়ে গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হন।ডাক্তারদের তথ্যমতে কেমোথেরাপিতে আর কাজ না হলেও তার শ্বসনতন্ত্রের ইনফেকশনের চিকিৎসা কার্যকরী হচ্ছে এবং তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন । পরবর্তীতে পেলে নিজেও তাঁর ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে ভক্তদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা শেয়ার করেছেন।তাই ফ্যাক্টওয়াচ এই দাবিকে মিথ্যা আখ্যা দিচ্ছে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যায়, ৮২ বছর বয়সী এই কিংবদন্তী ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ২০২১ সাল থেকে কোলন ক্যান্সারে ভুগছেন।২০২১ সালে তার কোলন থেকে একটি টিউমার অপসারণ করা হয় ।গত মঙ্গলবার তিনি ব্রাজিলের সাওপাওলোর একটি হাসপাতালে শ্বসনতন্ত্রের ইনফেকশন নিয়ে ভর্তি হন।গত শুক্রবার বিশ্বকাপ ফুটবলের ব্রাজিল-ক্যামেরুন ম্যাচে ব্রাজিলিয় ভক্তরা পেলের প্রতি সহমর্মিতা জানায়।
স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর (The Guardian,Aljazeera, CNN, BBC ) ৪ ডিসেম্বরের সর্বশেষ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, কেমোথেরাপিতে পেলের শরীরের আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় তাকে End-of-life কেয়ারে স্থানান্তর করা হয়েছে ।এন্ড অব লাইফ কেয়ার সাধারণত নিরাময়-অযোগ্যরোগীদের যত্ন বিষয়ক একটি ব্যবস্থা ।সাওপাওলোর হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শ্বসনতন্ত্রের ইনফেকশনের চিকিৎসায় পেলের শরীর ভালো মতো সাড়া দিচ্ছে।তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তার অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
গত ৩ ডিসেম্বর শনিবার নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পেলে জানিয়েছেন, তিনি শক্ত ও আশাবাদী অনুভব করছেন, এবং বরাবরের মতো চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও পেলেকে নিয়ে সর্বশেষ রিপোর্ট গুলোয় পেলের ভালো ও স্থিতিশীল থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে ।প্রথম আলোর রিপোর্ট দেখুন এখানে, ডেইলি স্টারের রিপোর্ট দেখুন এখানে, ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্ট দেখুন এখানে।
এদিকে ফিফার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পেলে সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি পেলে ভক্তদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দিয়েছেন।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কিংবদন্তী ফুটবলার পেলে মারা গেছেন এটি একটি ভিত্তিহীন দাবি।ফ্যাক্টওয়াচ তাই এই দাবিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?