বাজারে কি নকল চাল/প্লাস্টিকের চাল পাওয়া যাচ্ছে?
Published on: [August 14,2021]
বিভ্রান্তির উৎস
বাজারে নকল চাল (প্লাস্টিকের চাল) পাওয়া যাচ্ছে মর্মে ফেসবুক এবং ইউটিউবে গুজব ছড়াচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
এমন কয়েকটা পোস্ট দেখতে পাবেন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে , এখানে, এখানে ।
অনেকে নিজেদের রান্না করা চালের অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করে সেগুলাকে ‘প্লাস্টিকের চাল’ দাবি করে ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে আপলোড করছেন।
এসব অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে –
১। ভাতের মাড় পুরু শক্ত প্লাস্টিকের মত হয়ে যাওয়া
২। ভাতকে বল বানানো যায়। এসব বলকে ফ্লোরে নিক্ষেপ করলে প্লাস্টিকের বলের মত বাউন্স করে।
৩। শুকনো ভাতে আগুন ধরিয়ে দিলে সেটা প্লাস্টিকের মত জ্বলতে পারে এবং প্লাস্টিক-পোড়া গন্ধ বের হবে।
এসব বৈশিষ্ট্য দেখে অনেকে এসব অস্বাভাবিক চালকে ‘প্লাস্টিকের চাল’ বলে দাবি করছেন।
এমনকি , মুলধারার কিছু সংবাদমাধ্যমে পর্যন্ত ‘প্লাস্টিকের চাল চিনবেন কিভাবে’ শিরোনামে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ।
এমন কিছু পোস্ট দেখুন দৈনিক যুগান্তর, প্রথম আলো , কালের কন্ঠ, একুশে টিভি সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে প্লাস্টিকের চাল তৈরির মেশিন ও দেখানো হয়। হরেক রকম প্লাস্টিক আবর্জনা এসব মেশিনে ইনপুট হিসেবে দিলে সাদা রঙের চাল সদৃশ দানাদার প্লাস্টিক বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তবে এসব কথিত ‘প্লাস্টিকের চাল’ গুলোকে চালের বস্তায় মোড়কজাত করা হচ্ছে কিনা, কিংবা কিভাবে বাজারে ছাড়া হচ্ছে, সেটা দেখানো হয়নি।
এমন কিছু কথিত ‘প্লাস্টিকের চাল তৈরি মেশিন” এর ভিডিও দেখতে পাবেন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘প্লাস্টিকের চাল’ শব্দটি সর্বপ্রথম সীমিত আকারে সামনে আসে ২০১০ সালে। চীনের ‘উচ্যাং’ নামে একটি ব্র্যান্ডের সুগন্ধি চালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর প্লাস্টিকের চালের বিষয়টি সামনে আসে। ওই ব্র্যান্ডের চাল সেদেশে বিখ্যাত ছিল, কারণ এতে মেশানো হতো এক ধরনের কৃত্রিম ফ্লেভার। যে কারণে রান্নার পর ভাতে এক ধরনের সুগন্ধ থাকতো। সাধারণ চালের মধ্যে ফ্লেভার মিশিয়ে বাজারজাত করায় এই চালের বিরুদ্ধে ‘নকল চাল’বাজারজাত করার অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া, নকল চাল (প্লাস্টিকের চাল) এর বস্তার মধ্যে উচ্যাং এর সুগন্ধি মিশিয়ে প্লাস্টিকের চাল বাজারজাত করার গুজবও শুরু হয় তখন।
এরপর ২০১১ সালে কোরিয়ান টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়, অসাধু ব্যবসায়ীরা চীনের তাইজুয়ান, শানজি প্রদেশে নকল চাল বিক্রি করছে। ওই চাল আলু, মিষ্টি আলু ও প্লাস্টিক মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনটিতে অভিযোগ করা হয়। বলাবাহুল্য, এর সপক্ষে কোনো জোরালো প্রমাণ দেখাতে পারেনি ওই প্রতিবেদনে।
২০১৬ সালে নাইজেরিয়ার কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আড়াই টন চাল আটক করে এবং শুরুতে দাবি করে যে এসব আসলে প্লাস্টিকের চাল। কিন্তু পরে তারা সেই দাবি যে ভুল ছিল তা স্বীকার করে। নাইজেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিকের চালের কোন প্রমাণ তারা পাননি।
‘ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর’ চ্যানেলের একজন সাংবাদিক আলেক্সান্দ্রে ক্যাপরন এই প্লাস্টিকের চালের মিথ্যে গল্পের পেছনের কাহিনি অনুসন্ধান করেছেন ।
তিনি বলছেন, আমদানি করা চাল যাতে লোকে না কেনে, এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চাল কেনে, সেজন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই গুজব ছড়ানো হয়েছিল ।
কিন্তু গুজব ছড়াতে যারা উন্মুখ, তারা ততদিনে যা করার করে ফেলেছে।
তবে আফ্রিকার কোন কোন দেশে এই গুজব এতটাই ব্যাপক প্রচার পেয়েছে যে সরকারগুলো কথিত প্লাস্টিকের চাল বলে যে কিছু নেই, সেই ঘোষণা দিতে বাধ্য হচ্ছে।
ঘানার ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অথরিটি ২০১৭ সালে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, ঘানার বাজারে কোনো ধরনের প্লাস্টিকের চাল বিক্রি হয়নি।
প্রেক্ষাপট-গাইবান্ধা
২০১৯ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা শহর থেকে প্লাস্টিকের চাল সন্দেহে কিছু চাল জব্দ করা হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার সাংবাদিকদের জানান, ‘গাইবান্ধার রনি মিয়া দোকান থেকে ৬ কেজি চাল কেনেন। পরে ওই রাতে তার বাড়িতে ওই চালের ভাত রান্না হয়। সেই ভাত খাইতে গিয়ে তাদের তা বিশ্রী স্বাদ লাগলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরদিন ওই চাল ভাঁজলে সেগুলো কুঁচকে ও পুড়ে গলে গেলে সন্দেহ আরো গাঢ় হয়। তখন রনি মিয়া ওই চাল নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ টিম গঠন করে ওই দোকানে অভিযান চালানো হয়। কিছু চাল জব্দ করে ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
পরদিন ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গাইবান্ধার ডিসি মো. আবদুল মতিন বলেন, গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের একটি দোকান থেকে প্লাস্টিকের চাল সন্দেহবশত আটক করার পর তা প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় চাল ভিজে ও রান্না করে প্রতীয়মান হয়, চালের ভাত স্বাভাবিক চালের মতো। উদ্ধার করা চাল প্লাস্টিকের চাল নয়। এ চাল নিম্নমানের কিংবা ভেজাল হতে পারে।
৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে আরেক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্লাস্টিকের চাল এটি ইম্পসিবল, এটি হতেই পারে না। দেশে চাল এখন সারপ্লাস (উদ্বৃত্ত), চাষিরা বিক্রি করতে পারছে না। কাজেই প্লাস্টিকের চাল আসবে কেন, কোথা থেকে আসবে- এটি সম্ভব নাকি?
গাইবান্ধায় আটক করা চালের নমুনা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI) এর শস্যমান ও পুষ্টি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে এতে প্লাস্টিক জাতীয় কোনো কিছু নেই। এ প্রসঙ্গে শস্যমান ও পুষ্টি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেছেন, এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত যে, সংগ্রহীত চালের নমুনায় কোনো প্লাস্টিকের অস্তিত্ব ছিল না।
বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন ?
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ক্রপস উইংয়ের পরিচালক এম এম হাছিন আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, প্লাস্টিকের চাল বলে কিছু নেই। বাংলাদেশে চালের যেই দাম, ওই দামে প্লাস্টিকের চাল তৈরি করা খুব কঠিন কাজ। আর বাংলাদেশে চালের এই মুহূর্তে কোনও সংকট নেই যে প্লাস্টিকের চাল মার্কেটিং করে লাভজনক করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চালে আগুন দিলে তা এমনিতেই পুড়বে। আমাদের ছোটবেলায় যখন গ্রামে মুড়ি ভাজতো, তখন দেখতাম লবণ ব্যবহার করা হতো, যাতে না পোড়ে। চালের সঙ্গে প্লাস্টিক মিশিয়ে কখনই লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব না। আপনি চিনির সঙ্গে লবণ মেশাতে পারেন, যখন লবণের দাম কম এবং চিনির দাম বেশি।’
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ রাগিব আহসান বলেছেন, এক কেজি চালের খুচরা দাম গড়ে ৬০ টাকা। আর মোটামুটি নিম্নমানের ১ কেজি প্লাস্টিকের দাম কোনো অবস্থাতেই ১৫০-২০০ টাকার কম হবে না । আর সেই প্লাস্টিক কাঁচামালকে দিয়ে চাল বানিয়ে সেই চাল চীন থেকে বাংলাদেশে জাহাজে বা স্থলপথে আমদানি করে এবং বেশ কয়েকজন মধ্যস্বত্বভোগী পেরিয়ে মুদির দোকানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে তা কখনোই ২০০-৩০০ টাকা কেজির কমে দেয়া সম্ভব না। সেই অবস্থায় ৬০ টাকা দিয়ে ‘প্লাস্টিকের চাল’ বিক্রি করে লোকসান করতে চাইবেন না কেউই।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI) এর উর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা, কৃষিবিদ এম আব্দুল মোমিন গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে এক কলামে লিখেন, ফেসবুকে এক ভিডিওতে দেখলাম একজন ভাত রান্না করার পরে ভাতের চেহারা দেখে বলছেন এটা নির্ঘাত প্লাস্টিকের চাল। ভাতের মাড় নাকি শুকিয়ে প্লাস্টিকের মতো হয়ে গেছে, আর ভাতটাকে বল বানিয়ে বাউন্স করানো যাচ্ছে। পোস্টদাতা কি কখনো ভাতের মাড় শুকানোর পরে কেমন হয় দেখেননি? চাল পুরনো হলে পচতে পারে, আর সেই পচা চালের মাড় নানা অবস্থায় হাঁড়ির গরমে পড়ে প্লাস্টিকের মতো চেহারা হতে পারে।
কিন্তু ওই যে মোক্ষম ‘প্রমাণ’ভাতের বল বাউন্স করা? প্লাস্টিক না হলে কি সেটা হতে পারে? হ্যাঁ অবশ্যই পারে। ভাত মূলত কার্বহাইড্রেট, আর ভাতের স্থিতিস্থাপকতা অনেক সময়ে রাবারের মতো হওয়া সম্ভব পদার্থ বিজ্ঞানের সব নিয়ম মেনেই। তার জন্য প্লাস্টিক হওয়ার দরকার নেই। কাজেই ভাতের বল বাউন্স করলেই সেটা প্লাস্টিক চাল হওয়ার প্রমাণ নয় মোটেও।
আরেকটি বিষয় হলো, আমাদের ভাত রান্না করার জন্য তা পানিতে ফোটাতে হয়, পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমাদের বাজারে যে সব প্লাস্টিক পাওয়া যায় তাদের স্ফুটনাঙ্ক বিভিন্ন। যেমন- পিভিসি প্লাস্টিক গলে ১৬০ ডিগ্রি থেকে ২১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। আমরা জানি, পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রার উপরে নেয়া সম্ভব নয়।
সুতরাং আপনি যদি বাজার থেকে প্লাস্টিক কিনে আনেন সেটা কখনোই পানি দ্বারা ফুটানো সম্ভব হবে না। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে প্লাস্টিক গলানো হলে সেটা তরলে রূপান্তরিত হয় অথবা তার আকার আকৃতির পরিবর্তন হয়ে যায়। সেটি যদি প্লাস্টিক চালও হয় তার আকার রান্নার পর ভাতের আকারে থাকার কথা নয়।
‘চাল বানানো মেশিন’গুলো তাহলে কী বানাচ্ছে ?
ভিডিওতে মেশিনের গঠন এবং কার্যপ্রণালী দেখে মনে হচ্ছে , এগুলা প্লাস্টিক গ্রানুলেট মেশিন। বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিককে এরা রিসাইকেল করে ছোট ছোট দানায় পরিণত করে। এসব গ্রানুলেট প্যাকিং এর কাজেশক এবজর্বার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার এসব গ্রানুলেট অন্যান্য বিভিন্ন প্লাস্টিকের জিনিসপত্র তৈরির কাচামাল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
ইউটিউবে বিভিন্ন মডেলের এমন মেশিনের অনেক ভিডিওর কার্যপ্রণালি দেখা যায়। যেমন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে , এখানে , এখানে ।
এগুলোর মধ্যে কোন একটি মেশিনকেই সম্ভবত ‘প্লাস্টিকের চাল বানানোর মেশিন’ দাবী করে ভিডিও বানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে সেটা ভাইরাল হয়।
আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশেও কথিত ‘প্লাস্টিকের চাল’ জব্দ করে ল্যাবে টেস্ট করা হয়েছে। ভাতের মধ্যে ২০ মিলি মিথিলিন ব্লু ,হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং মিথিলিন ইয়েলো দেওয়ার পরে দেখা গেল , সাদা ভাতের রঙ সবুজ এ পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যদি এটা সাধারন ভাত না হয়ে প্লাস্টিক হত, তাহলে রঙ পরিবর্তন হত না ।
হংকং এর ল্যাবে ওদের বাজারে পাওয়া কথিত ‘প্লাস্টিকের চাল’ এর ডিএনএ টেস্ট ও করা হয়েছিল। দেখা গেছে, এরা আসল চাল।
ভারতের তামিলনাড়ুর চাল কল মালিক সমিতি ২০১৭ সালে জানিয়েছিল, প্লাস্টিকের চাল একটি গুজব ছাড়া কিছু নয়।
আরবান লিজেন্ড যাচাই এর জন্য বিখ্যাত স্নুপস সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের অনুসন্ধানেও জানিয়েছে, প্লাস্টিকের চাল নামে কোথাও কিছু নাই। (যেমন- এখানে, এখানে )
সিদ্ধান্ত
সকল তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে-
১।দীর্ঘদিন ধরে প্লাস্টিকের চাল সংক্রান্ত বিভিন্ন গুজব প্রচলিত থাকলেও আদৌ এর কোনো অস্তিত্ত্ব কোথাও পাওয়া যায়নি। সম্ভাব্য প্লাস্টিকের চাল সন্দেহে যেসব চাল জব্দ করা হয়েছিল, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা দেখা গেছে, এগুলো সবই আসল চাল। এমনটি ডিএনএ টেস্টেও সেগুলো আসল চাল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
২। প্লাস্টিকের চাল বানানোর মেশিন হিসেবে দাবি করা যন্ত্রটি প্রকৃতপক্ষে প্লাস্টিক গ্রানুলেট মেশিন।
৩। শিল্প পর্যায়ে, প্লাস্টিকের দানাদার ক্ষুদ্র কিছু পদার্থ তৈরি করা হয়, তবে সেটা বেশ ব্যয়বহুল এবং চাল এর বিকল্প খাদ্য হিসেবে কখনো ব্যবহৃত হয়নি, এবং অর্থনৈতিকভাবে কখনোই লাভজনক না।
৪। আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকারদের অনেকেই (যেমন স্নপস) ইতোপূর্বে প্লাস্টিকের চাল জিনিসটাকে একটা গুজব হিসেবে সনাক্ত করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। দেশী কৃষিবিদেরাও বিভিন্ন সময়ে প্লাস্টিকের চাল ধারণাটিকে গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন।
সার্বিক পর্যালোচনায় প্লাস্টিক চাল সংক্রান্ত ফেসবুকের ভাইরাল পোস্টগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ ‘মিথ্যা’ হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|
No Factcheck schema data available.