“আসামিকে ক্রসফায়ারে দেয়ার পূর্ব মূহুর্তের প্রস্তুতি”- এই শিরোনামে সম্প্রতি ৩ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি বাংলাদেশ পুলিশের একটি মহড়ার দৃশ্য, কোনো ক্রসফায়ারের ভিডিও নয়। ভিডিওটির অডিও থেকে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়।
ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হচ্ছে, ভিডিওতে একজন আসামিকে ক্রসফায়ার করা হবে এটি তারই আগ মূহুর্তের ভিডিও। যাদের হার্ট দূর্বল তাদেরকে ভিডিওটি না দেখার জন্য সতর্কও করা হয়েছে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
৩ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ভাইরাল এই ভিডিওতে থাকা অডিওটি শুনলে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় যে, এটি বাংলাদেশ পুলিশের কোনো একটি ইউনিটের মহড়ার ভিডিও। উক্ত ভিডিওর সাথে অডিওর সামঞ্জস্যতা পর্যবেক্ষণ করে এটি নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি এই ভিডিওরই মূল অডিও। সেখানে বলা হচ্ছে, গাড়িতে থাকা কোনো আসামিকে কিভাবে ধরা হবে তারই একটি মহড়া এটি।
যিনি ভিডিওটি করেছেন তিনি মূলত উক্ত মহড়ার প্রত্যেকটি পদক্ষেপ বর্ণনা করছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আসামিকে কিভাবে ধরতে হয় কিংবা যেটিকে “গাড়ি এসোল্ট (Assault)” বলে তার মহড়া শুরু হয়েছে। উক্ত মহড়া পরিচালনার দায়িত্বে উপস্থিত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিচয় দিতে তিনি বলে,”এটি পরিচালনা করছেন ‘বদি’ স্যার এবং হেড স্যার, আমাদের হেড স্যার খুবই রসিক মানুষ”। ধারা বিবরণীর এক পর্যায়ে তিনি আসামী ভূমিকায় যিনি অভিনয় করছেন তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন। তাকে “সুমন ভাই” বলে সম্বোধন করা হয়েছে। যা থেকে বুঝা যায়, এখানে কোনো আসামি নেই বরং পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই বিভিন্ন ভূমিকায় অংশগ্রহণ করে মহড়াটি সম্পন্ন করেন।
উক্ত ভিডিওগুলোতে কোথাও ক্রসফায়ারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, পরিষ্কারভাবেই বুঝা যাচ্ছে ভিডিওর ক্যাপশনের সাথে মূল ভিডিওর কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওতে কোনো আসামিকে ক্রসফায়ার করতে দেখা যায়নি। বরং ভিডিওতে স্পষ্ট বলা হচ্ছে, এটি একটি পুলিশি মহড়ার দৃশ্য। কিন্তু এমন ক্যাপশনের কারণে মানুষের মধ্যে এক ধরণের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এই ভিডিওটির ক্যাপশনকে মিথ্যা চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?