সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট প্রচুর শেয়ার হচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারেননি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মূলত তথ্যটি ভিত্তিহীন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ও ওয়াশিংটন সফর শেষে কানাডার টরেন্টো হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো:
“আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারেননি বিনা ভোটের সরকারের প্রতিমন্ত্রী জোনাইদ আহমদ পলক। তার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিলো ওয়াশিংটন নিউইয়র্কে! কিন্তু মার্কিন সরকার তাকে ঢুকতে দেয়নি। চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কানাডা ঘুরে দেশে ফিরে গেছেন এ মহারাজ।“
ভাইরাল কিছু পোস্টে ব্যবহৃত একটি নথি থেকে জানা যায়, এটি অ্যামেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড আর্কিটেক্সটস (এএবিইএ) এর সাথে একটি সভার জন্য তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তার ব্যক্তিগত সহকারি সাদ্দাম হোসেনের নামে একটি অনুমোদনপত্র। সভাটির স্থান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি। উক্ত সফরে আরও অন্তর্ভুক্ত আছে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন গার্ডেনে “ইনভেস্টমেন্ট রোড শো”, “গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ কনসার্ট” এবং কানাডায় “আর্ট অফ এ ইয়াং নেশন বাংলাদেশ”।
পত্রটিতে উল্লেখ আছে, উক্ত সফরে জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে থাকবেন তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন এবং ৩ ছেলে অপূর্ব জুনাইদ, অর্জন জুনাইদ এবং অনির্বাণ জুনাইদ। উপ–সচিব ইসরাত জাহানের স্বাক্ষরযুক্ত পত্রটি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান হিসাব কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে প্রেরিত।
এছাড়াও, জুনাইদ আহমেদ পলক তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে উক্ত সফর নিয়ে একটি পোস্টে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন। ছবিতে তাকে তার সন্তানের সাথে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের সামনে দেখা যাচ্ছে যা যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে অবস্থিত। আরেকটি ছবিতে তাদের লিংকন মেমোরিয়ালে দেখা যাচ্ছে যা ওয়াশিংটনে অবস্থিত।
উক্ত পোস্টে তিনি বিশ্ব ব্যাংক থেকে প্রেরিত একটি আমন্ত্রণপত্রের ছবিও দিয়েছেন। সেটি থেকে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাউথ এশিয়া অঞ্চলের এডুকেশন গ্লোবাল প্র্যাক্টিসের টাস্ক টিম লিডার টিএম আসাদুজ্জান তাকে তথ্য-প্রযুক্তি এবং শিক্ষার ওপরে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে একটি আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পত্রে, ২৩-৩১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি তে জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতি কামনা করেছেন আহ্বায়ক।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে। ভাইরাল পোস্টগুলোতেও এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ হাজির করা হয় নি। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ছবি থেকে এটি পরিষ্কার যে, অতিসম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন। সঙ্গত কারণেই তাই ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?