বাজারে কি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নতুন মূল্যতালিকা ঠিক করে দেয়া হয়েছে? 

142
বাজারে কি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নতুন মূল্যতালিকা ঠিক করে দেয়া হয়েছে? 
বাজারে কি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নতুন মূল্যতালিকা ঠিক করে দেয়া হয়েছে? 

Published on: [post_published]

ফেসবুকে যা ছড়াচ্ছেঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগোযুক্ত “আলু, পেঁয়াজ, লবণ, সয়াবিন তেল, পেট্রোল, গরু মাংস, খাসির মাংস, দুধ, ব্রয়লার মুরগি, দেশি মুরগি” এই সকল দ্রব্যের মূল্যর একটি তালিকার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই দ্রব্যমূল্যের তালিকা নির্ধারণ করেছে।

আসল ঘটনাঃ দাবিটি মিথ্যা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান নিশ্চিত করেন যে, এ ধরণের কোনো মূল্যতালিকা নির্ধারণ করা হয়নি। ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানঃ 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া মূল্যতালিকার ছবিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো দেখতে পাওয়া যায়। তাই ভাইরাল দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সত্যিই বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা নির্ধারণ করেছে কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে দাবিটির সমর্থনে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে, চ্যানেল ২৪ এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ১০ আগস্ট ২০২৪-এ “ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া মূল্যতালিকা সঠিক নয়: ভোক্তা অধিকার” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। সেখান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ থেকে আপলোড করা একটি পোষ্টের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের তালিকাটি সঠিক নয়।

পরবর্তিতে, এই সূত্র ধরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ থেকে আপলোড করা নতুন  মূল্যতালিকা সম্পর্কিত পোস্টটি খুঁজে পায় ফ্যাক্টওয়াচ টিম। ১০ আগস্ট ২০২৪ এ আপলোড করা জনসচেতনতামূলক এই পোস্টে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের বরাত দিয়ে জানানো হয় যে, নতুন সরকার বা সেনাবাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। পাশাপাশি তিনি ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মহাপরিচালক মূল্যতালিকা সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

অর্থাৎ, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকাটি ভুয়া। সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল পোষ্টগুলো মিথ্যা।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh