ইসরায়েল আত্মরক্ষার অধিকার রাখে: ড. ইউনুস বলেছেন একথা?

151
ইসরায়েল আত্মরক্ষার অধিকার রাখে: ড. ইউনুস বলেছেন একথা?
ইসরায়েল আত্মরক্ষার অধিকার রাখে: ড. ইউনুস বলেছেন একথা?

Published on: [post_published]

“ইজরাইল তার আত্মরক্ষার অধিকার রাখে” বলেছেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডক্টর ইউনুস। এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই উদ্ধৃতি সম্বলিত দ্য ডেইলি স্টারের খবরের আদলে একটি স্ক্রিনশটও ছড়িয়ে পড়েছে । তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই স্ক্রিনশটটা আসল নয়, বরং এডিট করে তৈরি করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনুস হামাস ও ইসরায়েলের সংঘাত নিয়ে ইসরায়েলের পক্ষে কোনো মন্তব্য করেছেন এই ধরনের কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে। 

গুজবের উৎস: 

ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান: 

ভাইরাল স্ক্রিনশট বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, দ্য ডেইলি স্টারে ব্যবহৃত ‘ফন্ট’ এর সাথে এই স্ক্রিনশটে ব্যবহৃত ফন্টের মিল নেই। বানান রীতির সাথেও এর অমিল দেখা যাচ্ছে। Israel কে দ্য ডেইলি স্টার সবসময় বাংলায় ‘ইসরায়েল’ বানানে লেখে,  ‘ইজরায়েল’ নয়। তাছাড়া দ্য ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটে  এই ধরনের কোনো খবরের শিরোনাম (প্রফেসর ডক্টর ইউনুস  বলেছেন, “ইজরাইল তার আত্মরক্ষার অধিকার রাখে”) খুঁজে পাওয়া যায়নি।  তদুপরি দ্য ডেইলি স্টারের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে অক্টোবর ১২ তারিখে এক পোস্টের মাধ্যমে  নিশ্চিত  করা হয়েছে, দ্য ডেইলি স্টার থেকে সংবাদের নামে ছড়ানো এই স্ক্রিনশটটি ভুয়া। ১০ই অক্টোবর তারিখে এমন কোনো ফটোকার্ড সেখান থেকে প্রকাশিত হয়নি। দেখুন এখানে

সুতরাং এ বিষয়টি পরিষ্কার যে এই ফটোকার্ডটি ভুয়া। ডেইলি স্টার থেকে যা প্রকাশ করা হয়নি।

 

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর তারিখে “ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, নেতানিয়াহুকে বাইডেন” শিরোনামে

দেশ রূপান্তর পত্রিকা থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যার বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে, “হামাস ইস্যুতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে”। প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে। অর্থাৎ যে কথা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে ছড়িয়েছে, সেকথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন তার প্রমাণ মিলেছে।

সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এই দাবিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে ।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.