তাইওয়ানের রেল টানেলকে ফটিকছড়ির বলে দাবি 

14
তাইওয়ানের রেল টানেলকে ফটিকছড়ির বলে দাবি  তাইওয়ানের রেল টানেলকে ফটিকছড়ির বলে দাবি 

Published on: [post_published]

যা দাবি করা হচ্ছেঃ এটা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হেয়াকো বাজারের ইসলামপুর রোডে অবস্থিত টানেলের ছবি।

 অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছেঃ দাবিটি মিথ্যা। ছবিটি মূলত তাইওয়ানের হাই-স্পিড রেললাইনের একাধিক টানেলের যেগুলো দেশটির চাংহুয়া কাউন্টিতে অবস্থিত । চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এমন কোনো রেললাইন বা টানেল থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান: 

ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শুরুতেই একে ব্যবহার করে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। অনুসন্ধানে Giniy নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০১৩ সালের ২০ মে আপলোড করা আলোচিত ছবিটির অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ক্যাপশনে  উল্লেখ করা হয় যে, ছবিতে দেখানো রেল টানেলগুলো তাইওয়ানের হাই-স্পিড রেললাইনের অংশ। এই রেল টানেলগুলো তাইওয়ানের  চাঙহুয়া এলাকায় অবস্থিত।

এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে অনুসন্ধান করে তাইওয়ানের শীর্ষস্থানীয় কনস্ট্রাকশন কোম্পানি কন্টিনেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধেও ভাইরাল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। নিবন্ধটি থেকে জানা যায়, ভাইরাল ছবিটি তাইওয়ানের চাংহুয়া কাউন্টিতে বাগুয়া (八卦山) পর্বতের মধ্য দিয়ে যাওয়া একাধিক রেল টানেলের।

 

তাই এ ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য গুগল আর্থের সাহায্যে বাগুয়া পর্বতের মধ্য অবস্থিত রেল টানেলের স্যাটেলাইট ভিউ বিশ্লেষণ করে দেখে ফ্যাক্ট ওয়াচ টিম, যার সাথে ভাইরাল রেল টানেলগুলোর  বেশ কিছু মিল পাওয়া যায়।                             

অন্যদিকে ভাইরাল পোষ্টগুলতে এই টানেলগুলো চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হেয়াকো বাজারের ইসলামপুর রোডে অবস্থিত বলে দাবি করা হচ্ছে। তাই এই ঠিকানায় সত্যিই কোনো রেল টানেল আছে কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভিন্ন ভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করেও দাবিটির সমর্থনে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে থেকেও এই একই ছবি থাইল্যান্ডের বলে ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে এএফপি থাইল্যান্ডের একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন  দেখুন এখানে

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

No Factcheck schema data available.