কলকাতার তারকা জুটি রাজ-শুভশ্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নি

21
কলকাতার তারকা জুটি রাজ-শুভশ্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নি কলকাতার তারকা জুটি রাজ-শুভশ্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নি

Published on: [post_published]

সম্প্রতি কলকাতার তারকা জুটি রাজ এবং শুভশ্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এমন ভূয়া খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু ফ্যাক্ট ওয়াচের অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে দাবিটি ভূয়া।

 গুজবের উৎস

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া রাজ-শুভশ্রীর কিছু ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয় তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ছবিগুলোতে দেখা যায়  রাজ চক্রবর্তীর মাথায় ফেজ টুপি এবং পরনে ফতুয়া, শুভশ্রীর গায়ে ঢোলা কুর্তি এবং ওড়না দিয়ে ঘোমটা করা এবং রাজ-শুভশ্রী দম্পতির সন্তান ইউভানের মাথায়ও ফেজ টুপি আবার কখনো বা টুপি ছাড়া। এমনই ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে ,এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

 ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো রাজ চক্রবর্তীর ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে নেওয়া হয়েছে। রাজ চক্রবর্তী গত ২৭ মার্চ তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ছবিগুলো আপলোড করেন।


ছবিগুলো আপলোড করে ক্যাপশন দেন যার বাংলা অর্থ করলে হয় “গত রাতের কিছু ছবি। আজমের শরীফে ভ্রমণ। সর্বশক্তিমান আমাদের সকলকে আশীর্বাদ করুন ও রক্ষা করুন। ধন্যবাদ কাশিফ ভাইকে আমাদের সকলের খেয়াল রাখার জন্য। এটি একটি আত্মা সমৃদ্ধিদায়ক ভ্রমণ।” এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে রাজ চক্রবর্তী আজমীর শরীফ ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু এখানে কোথাও তিনি ধর্ম পরিবর্তনের কথা বলেন নি। রাজ চক্রবর্তীর পোস্টটি দেখুন এখানে। 

রাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী শুভশ্রী গাঙুলিও ইন্সটাগ্রামে আজমীর শরীফ ভ্রমণের ছবি আপলোড করেছেন। সেখানে তিনি ক্যাপশনে লেখেন “ইবাদাত”। তবে তার পোস্ট থেকেও ধর্মান্তরিত হবার কোন পোস্ট পাওয়া যায়নি। শুভশ্রীর পোস্টটি দেখুন এখানে,

রাজ-শুভশ্রীর পোস্ট ছাড়াও ভারতের একাধিক বাংলা গণমাধ্যম তাদের আজমীর শরীফের ভ্রমণ এবং আজমীর শরীফে ভ্রমণের পরে সামাজিক মাধ্যমে তাদের নিয়ে ট্রল করার খবর প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য আজমির শরীফে ভ্রমণের ছবি আপলোডের পরে  তাদের ধর্মীয় দিক তুলে ধরে অনেকে ট্রল করেন। এটাও কলকাতার মূলধারার গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। নিউজগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।

বাংলাদেশের কালের কণ্ঠ এবং নিউজ টুয়েন্টিফোরেও একই নিউজ প্রকাশ করা হয়। সেগুলো দেখুন এখানে , এখানে ।

 

কিন্তু কোন মূল ধারার গণমাধ্যমেই তাদের ধর্মান্তরিত হবার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশের বুম বিডি , রিউমার স্ক্যানার এবং ভারতের নিউজচেকার থেকেও এই নিউজের উপর ফ্যাক্টচেক করা হয়েছে। তারাও ঘটনার কোন সত্যতা পায়নি।

সিদ্ধান্ত

যেহেতু ভাইরাল হওয়া নিউজের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি তাই ফ্যাক্টওয়াচ এটাকে ‘মিথ্যা’ সংবাদ হিসেবে চিহ্নিত করছে।

 

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.