সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ডাকাতির ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, পেট্রোল পাম্পে পিস্তল হাতে ডাকাতির এই দৃশ্যটি বাংলাদেশের এবং বর্তমান সরকারের মদদেই এমন ঘটনা ঘটছে । কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, ভিডিওটি ভারতের বিহারে একটি ডাকাতির দৃশ্য, বাংলাদেশের নয়। সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় আলোচিত ভিডিওর ক্যাপশনগুলো মিথ্যা।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর উৎস খুঁজে পাওয়ার জন্য শুরুতেই রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। এর ফলে বিহারের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ আপলোড করা ভাইরাল ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ডাকাতির এই ভিডিওটি বিহারের সাহারসা (Saharsa) শহরের একটি পেট্রোল পাম্প থেকে ধারণ করা হয়েছিল।
এই সূত্র অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করে এনডিটিভির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ এই ডাকাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ধারণ করা এই একই ঘটনার একটি ভিডিও পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, বিহারের সাহারসা শহরের পাশে তিরি (Tiri) এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, চার মুখোশধারী ব্যক্তি বাইকে তেল নেওয়ার নাম করে পেট্রোল পাম্পে এসে অস্ত্র বের করে সেখানকার কর্মীকে হুমকি দিয়ে ২১,০০০ রুপি ডাকাতি করে। পুরো ঘটনাটি পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে।
পরবর্তীতে গুগল ম্যাপের সাহায্যে তিরি এলাকার ২০২৩ সালের জুলাইয়ের একটি স্ট্রিট ভিউর সাহায্যে ভাইরাল পেট্রোল পাম্পটিও খুঁজে পাওয়া যায়। জানা যায়, পেট্রোল পাম্পটির নাম ‘পূজা ফুয়েলস (Pooja Fuels)’।
এর মাধ্যমে এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আলোচিত ঘটনাটি ভারতের, বাংলাদেশের নয়। সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোষ্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
Claim: সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ডাকাতির ভিডিও শেয়ার করে তার ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, পেট্রোল পাম্পে পিস্তল হাতে ডাকাতির এই দৃশ্যটি বাংলাদেশের এবং বর্তমান সরকারের মদদেই এমন ঘটনা ঘটছে ।
Claimed By: Facebook users
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh