যা দাবি করা হচ্ছে : দৈনিক প্রথম আলোর বরাতে দাবি করা হচ্ছে যে, স্বাধীনতার প্রথম দিনে ৬২ হাজার গ্রামে লুটপাট।
অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছে :সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পদত্যাগের পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি,চাদাবাজি,ভাংচুর,অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপকর্মের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এসব অপরাধের মোট সংখ্যা কোনো সংবাদমাধ্যমে এখনো প্রকাশিত হয়নি। এছাড়া, দৈনিক প্রথম আলোও জানিয়েছে যে এমন কোনো সংবাদ তারা প্রকাশ করেনি।
৬ই আগস্ট সন্ধ্যা ৬ টা ৫ মিনিটে প্রথম আলো’র ভেরিফাইড পেজ থেকে একটা পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয় যে, প্রথম আলোর নামে ছড়ানো এই তথ্যটি নকল। আমাদের নয়।
এছাড়া ,প্রথম আলোর ওয়েবসাইটেও দেশের বিভিন্ন স্থানের ডাকাতির সর্বমোট কোনো সংখ্যা কোনো প্রতিবেদনে দেখা যায় নি। ৭ই আগস্ট প্রকাশিত রাতে ঢাকাসহ দেশের কিছু এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাইয়ের কথা জানালেন বাসিন্দারা শীর্ষক এই প্রতিবেদন থেকে ঢাকা শহরের বাইরে আশুলিয়া,নড়াইল,মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে (অর্থাৎ মোট ৪ জায়গায়) ডাকাতির খবর জানা যাচ্ছে। দেশ-রুপান্তর এর ওয়েবসাইটে ৯ই আগস্ট প্রকাশিত দেশে রাতভর ডাকাত আতঙ্ক শীর্ষক প্রতিবেদনে ঢাকার বাইরের ৭ টা জেলায় ডাকাতির কথা জানা যাচ্ছে। তবে কোনো সংবাদমাধ্যমেই ৬২ হাজারের মত বড় কোনো সংখ্যা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি।
সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশের ৮৭ হাজার গ্রামের মধ্যে ৬২ হাজার গ্রামেই সরকার পরিবর্তনের পরে ডাকাতি হয়েছে কিনা,সেটা ফ্যাক্টওয়াচের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এসব পোস্টে যে সূত্রের রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে (দৈনিক প্রথম আলো) সেখানে এমন কোনো খবর নেই, এবং প্রথম আলো নিশ্চিত করেছে যে এমন কোনো খবর তারা প্রকাশ করেনি। এই কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।