সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যার ক্যাপশনে বলা হয়েছে এমন চাল আমরা খেয়ে থাকি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভিডিওটিতে গাছ থেকে কাসাভা তৈরির প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে। কাসাভা একটি বৈজ্ঞানিক নাম তবে বাংলাদেশে স্থানীয়দের মাঝে কাসাভার সর্বাধিক পরিচিতি রয়েছে শিমুল আলু নামে। উল্লেখ্য, আমাদের দেশে বহুল পরিচিত সাবুদানা তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে কাসাভা ব্যবহার করা হয়। যেহেতু ভিডিওটির সাথে চালের কোনো সম্পর্ক নেই, কেননা সেখানে সাবুদানা বা সাগু তৈরি করা হচ্ছে। সে কারণে এমন ক্যাপশনগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
সাগুদানারমূলউপাদানএকপ্রজাতিরপামগাছ। টাপিওকাবাকাসাভানামেরপামগাছেরশক্তকান্ড ও মূলথেকেসংগ্রহকরাহয়এইসাগু। প্রসঙ্গত, ভাইরালভিডিওটিতেআমরাকাসাভারমূলথেকেবিভিন্নপ্রক্রিয়ারমাধ্যমেসাগুবাসাবুদানাউৎপন্নকরতেদেখেছি। সাগুবিভিন্নপ্রক্রিয়ায়প্রথমেময়দাআকারেপাওয়াযায়। একেইচ্ছেকরলেময়দাআকারেওখাওয়াযায়। কিন্তুবাজারজাতেরজন্যএকেমেশিনেরসাহায্যেদানাকরেতারপরখাওয়ারজন্যতৈরিকরাহয়। ঠিকযেমনটিআমরাভাইরালভিডিওটিতেদেখতেপেয়েছি। সাগুদানাকেইংরেজিতে ‘সাগুপার্ল’ বলে। সাগুবাসাবুদানানিয়েআরওবিস্তারিতজানতেএকটিপ্রতিবেদনপড়ুনএখানে।
এটিসহজেইহজমহয়, তাইশিশুখাদ্যহিসেবেব্যবহৃতহয়। এটিমানবশরীরেদ্রুতশক্তিযোগায়, পেশীসংকোচন এ সহায়তাকরেএবংপানিরভারসাম্যরক্ষাকরে। খুবইকমপরিমাণেচর্বিথাকায়হার্টেররোগীদেরজন্যসাগুএকটিআদর্শখাবার।এটিউন্নতমানেরকার্ব, ফাইবার ও ক্যালসিয়ামেরউৎস। বহুদেশেরঅতিপরিচিত ও প্রিয়খাদ্যএইসাগুদানা। সাগুদানারঅনেকধরনেররেসিপিরয়েছে।
পৃথিবীর ৯০টির বেশিদেশেকাসাভাউৎপাদিতহয়। কাসাভায়সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ভাগশর্করা, ১ থেকে ২ ভাগপ্রোটিনএবং ৫৫ থেকে ৬০ ভাগজলীয়অংশথাকে। আলুরতুলনায়কাসাভায়দ্বিগুণেরবেশিশর্করাথাকায়এটিআলুরচেয়েওবেশিপুষ্টিকর। যেখানেআলু–য় শর্করারমাত্রশতকরা ১৬.৩ ভাগস্টার্চহিসেবেথাকে, সেখানেকাসাভায়শতকরা ৪০ ভাগশর্করায় ৯০ ভাগইস্টার্চহিসেবেথাকে। এ ছাড়াকাসাভায়ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও উল্লেখযোগ্যপরিমাণেভিটামিনসিপাওয়াযায়।
কাসাভাচাষনিয়ে Business Report এরএকটিভিডিওপ্রতিবেদনদেখুনএখানে।