ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এর কন্যা সাফা কবির আত্মহত্যা করেছেন মর্মে একটি খবর ভাইরাল হয়েছে। এই খবরের সাথে অভিনেত্রী সাফা কবির এর একটি ছবিও অনেকে প্রচার করছেন। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, শাহরিয়ার কবির এর কন্যা এবং অভিনেত্রী সাফা কবির আলাদা ব্যক্তি । শাহরিয়ার কবির এর কন্যার নাম অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমু । এই পটভূমিতে অভিনেত্রী সাফা কবির নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে তাকে জড়িয়ে গুজব না ছড়াতে অনুরোধ করেছেন। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এসব পোস্টগুলোকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম এর এই খবরে বলা হয়েছে, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের মেয়ে অর্পিতা কবির মুমুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বাসা থেকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শাহরিয়ার কবিরের মহাখালীর বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করেন তারা।
তিনি বলেন, ৪১ বছর বয়সী মুমুর লাশ বাসার বাথরুমের জানালার সঙ্গে রশি থেকে ঝুলছিল।
“তিনি আত্মহত্যা করেছেন। রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।”
তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে শাহরিয়ার কবিরের পরিবারের কারও বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।
আরেকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এর বরাতে একই খবর প্রকাশ করেছে।
এখানে ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের বরাতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বনানীর একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অর্থাৎ এ সকল সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে যে শাহরিয়ার কবির এর মেয়ের নাম অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমু।
অন্যদিকে অভিনেত্রী সাফা কবির এর উইকিপিডিয়া পেজ থেকে জানা যাচ্ছে, তাঁর বাবার নাম হুমায়ূন কবির সবুজ।
tsportslivebd নামক এই পোর্টাল থেকে জানা যাচ্ছে, সাফা কবির এর বাবার নাম হুমায়ূন কবির সবুজ এবং তিনি একজন ব্যবসায়ী।
নিজের ভেরিইফাইড ফেসবুক পেজ থেকেও একটি স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে জানাচ্ছে, তিনি ভাল আছেন, সূস্থ আছেন।
অর্থাৎ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজনের (অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমু) এর মৃত্যুর খবর প্রচার করতে গিয়ে অন্যের (সাফা কবির) খবর ও ছবি যুক্ত করে প্রচার করছেন অনেকে। ফ্যাক্টওয়াচ এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করছে ।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।