এক ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মা সাতটি শিশু প্রসব করেছেন! অনুসন্ধানে দেখা যায়, হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকবৃন্দ গত ২৫ মে থেকে ২৬ মে ১২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ৬টি নর্মাল ডেলিভারি এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি সিজারিয়ান ডেলিভারি সফলভাবে সম্পন্ন করেছিলেন। পরবর্তীতে সদ্য জন্ম নেওয়া সাতটি বাচ্চার ছবিসহ সংবাদটি তারা তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবিগুলোই মূলত বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, ব্যক্তিগত একাউন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে উল্লেখিত ক্যাপশনে শেয়ার হতে থাকে। এটি কোনোভাবেই এক মায়ের সাত শিশু জন্ম দেয়ার ছবি নয়। সঙ্গত কারণে ভিত্তিহীন এসকল পোস্টগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” চিহ্নিত করেছে।
বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে প্রকাশিত এমনকিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
ভাইরাল পোস্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখা যায়,পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত ছবিমূলত তারা একটি সুস্পষ্ট বিবৃতিসহ ২৬ মে ২০২২ তারিখে তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছিলেন। বিবৃতিটি দেখুন এখানে। স্ক্রিনশট দেখুন নিচে-
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তাহারিন ফাতিহা জানান, ‘‘চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে সাতজন বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন এক মা এই সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের সিনিয়র চিকিৎসকবৃন্দ ছয়টি নরমাল ডেলিভারি ও একটি সিজারিয়ান ডেলিভারি সফলভাবে সম্পন্ন করেছিলেন। বিষয়টি তাদের ফেসবুক পেজে ইতিমধ্যেই পোস্ট করেছেন। সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। তা সত্বেও কে বা কারা তাদের পোস্টকরা ছবিগুলো নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে”।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংক্রান্ত যুগান্তর পত্রিকার একটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
সুতরাং “চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে সাতজন বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন এক মা’’ এই সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ভিন্ন ভিন্ন প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারি হয়েছিল হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেখানে সাতটি নবজাতক জন্মগ্রহণ করেছে। যথার্থ কারণে ভিত্তিহীন এসকল পোস্টগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” চিহ্নিত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?