নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন দেবেন বলেছেন? 

15
নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন দেবেন বলেছেন?  নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন দেবেন বলেছেন? 

Published on: [post_published]

“বাংলদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন দিবেন বলেছেন”এমন শিরোনামে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায় ভাইরাল ভিডিওতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি  মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর যে বক্তব্যটি দেখানো হয়েছে সেখানে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন নিয়ে কিছু বলেননি। অন্যদিকে, মূলধারার সংবাদ মাধ্যমেও মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া তথ্যটিকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বক্তব্যটি হচ্ছে রাষ্ট্রপতি হিসেবে একাত্তর টিভিকে দেয়া প্রথম সাক্ষাৎকারের একটি অংশ। ইউটিউবে প্রাসঙ্গিক কিছু কীওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই  সাক্ষাৎকারে কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে উল্লেখ পাওয়া যায়নি। নতুন রাষ্ট্রপতি সুনির্দিষ্ট ভাবে কোথাও বলেননি যে, তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন দেবেন। সাক্ষাৎকারের এই অংশে মূলত তিনি সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ, শংকামুক্ত এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।


 

বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কোনো বিধান নেই। ২০১১ সালের ১০ই মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এই সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। কাজেই সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা বললে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার কথা আসে না। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এখনও দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি। এই পদে এখন পর্যন্ত আবদুল হামিদই বহাল আছেন। আগামী ২৩ এপ্রিল আবদুল হামিদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হবে। 

সংবিধানের পরিবর্তন ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু সম্ভব নয়। কাজেই আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত হয়ে এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করার আগেই এমন বক্তব্য দেয়া মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এর পক্ষে নিতান্তই অবাস্তব। এ বিষয়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যম গুলোতেও কোনো ধরনের প্রতিবেদন পাওয়া যায় নি।

 তাই সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া তথ্যটিকেমিথ্যাহিসেবে চিহ্নিত করেছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.