ফেসবুকে যা ছড়াচ্ছেঃ বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের মুখে সপরিবারে শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ড পালিয়ে গেছেন।
আসল ঘটনাঃ দাবিটি মিথ্যা। শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ড পালিয়ে যাননি বরং, তিনি বাংলাদেশেই আছেন বলে নিজেই নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি, ‘শামীম ওসমান দেশ ছেড়েছেন’ এমন তথ্য সামাজিক মাধ্যমে কমপক্ষে ৩ আগস্ট ২০২৪ সকাল ৫ টা ৩৫ মিনিট থেকে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু, একই দিনে বিকেল তিনটায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওবায়দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলনে তাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং একজন আওয়ামী লীগ নেতা। বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্টে দাবি করা হচ্ছে তিনি সপরিবারে দেশ থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছেন। এই ধরণের পোস্টগুলো ফেসবুকে কমপক্ষে ৩ আগস্ট ২০২৪ সকাল ৫ টা ৩৫মিনিট থেকে খুঁজে পাওয়া যায়।
তাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শুরুতেই প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান অয়ন ওসমানের ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওতে তারা যে বাংলাদেশেই অবস্থান করছে সেটা প্রমাণ করার জন্য তিনি তার বাসার চারপাশের ভবন দেখান। পাশাপাশি ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যদের থাইল্যান্ড চলে যাওয়ার খবরটি সম্পূর্নরুপে ভিত্তিহীন।
পরবর্তিতে, ৩ আগস্ট ২০২৪ বিকেল তিনটায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমানকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি দেশেই আছি।’
অর্থাৎ, শামীম ওসমানের দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ড চলে যাওয়ার খবরটি ভিত্তিহীন। সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল পোস্টগুলো মিথ্যা।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।