নিজেকে ইতালি প্রবাসী পাইলট দাবী করে বাংলাদেশী ছেলে বিয়ে করে ইতালী নিতে চাইছেন এক নারী – এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে । অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ফ্রিলান্সার মারজান আহমেদ-এর ছবি ব্যবহার করে এমন দাবি করা হচ্ছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মারজান আহমেদ এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ইন্সটাগ্রামে টপ ফ্রিল্যান্সার এবং এন্টারপ্রেনিওর (উদ্যোক্তা) পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি নিজেকে ট্রেইনি পাইলট হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
ডয়েচে ভেলে’র এই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, যশোরের এমএম কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী মারজান৷ কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই৷ তাই অষ্টম শ্রেণিতে থাকতেই কম্পিউটারের উপর প্রথম প্রশিক্ষণ নেন তিনি৷ এরপর মাধ্যমিকের পর করেন ডিপ্লোমা৷ ডিজাইনিং এর প্রতি আগ্রহ থাকার কারণে এই বিষয়টা ভালভাবে শেখার চেষ্টা করেছেন৷ আর ইন্টারনেটে সময় কাটাতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তাঁর জানাশোনা৷ সেখান থেকেই শুরু৷ এখন প্রতিমাসে তাঁর গড় আয় ছাড়িয়ে গেছে লক্ষাধিক টাকা৷ মারজান কাজ করেন ফ্রিল্যান্সিং সাইট ‘ওডেস্ক’ আর ‘ফ্রিল্যান্সার’এ৷ শুরু করেছিলেন ডাটা এন্ট্রি দিয়ে৷ এরপর ডিজাইনিং, প্রবন্ধ লেখা এসব কাজও করেছেন৷
দৈনিক যুগান্তরে গত ১৯শে মে ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে থেকে জানা যায়, মারজান আহমেদ ইতিমধ্যে বিবাহিত এবং তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী-সন্তান সহ একটি পারিবারিক ছবিও প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক যুগান্তরে।
এমতাবস্থায়, তার ছবি ব্যবহার করে বিয়ে করা এবং ইতালি চলে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল পোস্ট স্পষ্টতই বিব্রতকর।
সুতরাং পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে, মারজান আহমেদের ছবি ব্যবহার করে উপরোক্ত যেসব দাবি করা হচ্ছে সেগুলো ভিত্তিহীন। ফলে ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে।