সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত একটি ভিডিওতে দৃশ্যমান একজন মেয়েকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আরেফিন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে “street point” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে উক্ত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ক্লিপ খুঁজে পাওয়া গেছে যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মেয়েটি বুশরা আরেফিন নন। তাছাড়া, “street point” নামক ঐ ইউটিউব চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে, চ্যানেলটি একজন পাকিস্তানি ব্যবহারকারী চালান। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটির দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটিতে দৃশ্যমান মেয়েটি বুশরা আরেফিন কিনা তা যাচাই করতে আমরা ঐ ভিডিও থেকে কিছু স্ক্রিনশট নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি এবং “street point” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ৯ জুলাই ২০২৩ এ প্রকাশিত একটি শর্টস ভিডিও খুঁজে পাই। উক্ত ভিডিওটির সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটির বেশ মিল পাওয়া গেছে। ইউটিউব থেকে প্রাপ্ত শর্টস ভিডিওতে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি যে ঐ ভিডিওতে দেখতে পাওয়া মেয়েটি বুশরা আরেফিন। তাছাড়া, “street point” নামক ঐ ইউটিউব চ্যানেলটিতে প্রকাশিত অন্যান্য ভিডিও এবং শর্টস পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে যে, চ্যানেলটি যিনি পরিচালনা করছেন তিনি একজন পাকিস্তানি।
উল্লেখ্য, ঢাকার প্রচণ্ড তাপমাত্রা নিরসনে এবং চরম তাপমাত্রায় জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানে বুশরা আরেফিনকে ঢাকার প্রথম চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। নতুন এই পদটি অনেকের কাছে অপরিচিত হওয়ায় এবং এই পদের কাজ সম্পর্কে অবগত না থাকায় চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আরেফিন সামাজিক মাধ্যমে হাসি-তামাশার শিকার হন।
অতএব, এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটিতে যে মেয়েকে চিফ হিট অফিসার বুশরা আরেফিন বলে দাবি করা হচ্ছে তিনি আসলে ভিন্ন ব্যক্তি।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ শেয়ারকৃত ভিডিওটির দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।