ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মারা গেছেন এমন একটি দাবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি শোকবার্তাও প্রচার করা হচ্ছে। শোকবার্তায় লেখা, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা সম্প্রতি ভারতের দিল্লীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আমাদের প্রিয় নেত্রী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা আর আমাদের মাঝে নেই।…আগামীকাল বাদ ফজর ভারতের দিল্লী জামে মসজিদে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।’ ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেখ হাসিনার মৃত্যুর দাবিটি ভিত্তিহীন এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমন কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে ভারত বা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার মারা যাওয়ার দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে ফেসবুকে এই দাবিটির পক্ষে বেশ কিছু ছবিও প্রচার করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি ছবি নিয়ে গত ১৫ মে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফ্যাক্টওয়াচ। সাদাকালো একটি ছবিতে থাকা এক নারীকে শেখ হাসিনা দাবি করে সে সময় ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়েছিল যে, ভারতের নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শেখ হাসিনা।
ভিন্ন নারীর ছবিতে শেখ হাসিনার মৃত্যুর গুজব
এই দাবি নিয়ে ফ্যাক্টওয়াচের প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
এ ছাড়া কালবেলার নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ডেও দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের যাচাইয়ে দেখা যায়, কালবেলা এমন কোনো ফটোকার্ড প্রচার করেনি। পত্রিকাটির নাম ও লোগো ব্যবহার করে ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এসব ছবির বাইরে শেখ হাসিনার মৃত্যুর দাবিটি নিয়ে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও শেখ হাসিনার মৃত্যুর দাবি ও এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো তথ্য বা শোকবার্তা পাওয়া যায়নি। বরং আওয়ামী লীগের পেজে শেখ হাসিনার মৃত্যুর দাবিটিকে (আর্কাইভ) গুজব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সুতরাং এসব তথ্যের ভিত্তিতে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়, শেখ হাসিনার মৃত্যুর দাবিটি ভিত্তিহীন। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এমন দাবিযুক্ত পোস্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
Claim: ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মারা গেছেন এমন একটি দাবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
Claimed By: Facebook Users
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh