২২ মার্চ ২০২১ তারিখে banglakatha.com নামের একটি ওয়েব পোর্টাল “ক্রিকেটকে বিদায় সৌম্য সরকারের!” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যার মূল অংশে সৌম্য সরকার ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন এমন কোনো তথ্য দেওয়া হয় নি। একই প্রতিবেদন হুবহু কপি করে প্রকাশ করেছে আরও একাধিক ওয়েব পোর্টাল যা অনেকেই ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কিংবা সৌম্য সরকার নিজে এমন কোনো বিবৃতি দেননি।
২২ মার্চ ২০২১ তারিখে banglakatha.com নামের একটি ওয়েব পোর্টাল “ক্রিকেটকে বিদায় সৌম্য সরকারের!” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে সৌম্য সরকার ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন’ এমন কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। একই প্রতিবেদন হুবহু কপি করে প্রকাশ করেছে আরও একাধিক ওয়েব পোর্টাল যা অনেকেই ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কিংবা সৌম্য সরকার নিজে এমন কোনো বিবৃতি দেননি।
banglakatha.com ওয়েব পোর্টালের “ক্রিকেটকে বিদায় সৌম্য সরকারের!” শীর্ষক প্রতিবেদনটি হুবহু কপি করে একই শিরোনামে প্রকাশ করেছে এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে,এখানে এবং এখানে।
উক্ত সংবাদগুলো জুনের ১ ও ২ তারিখে ফেইসবুকের বিভিন্ন পেইজ থেকে শেয়ার হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে,এখানে এবং এখানে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তিথেকে বাদ পড়ছেন সৌম্য
১ জুন ২০২১ তারিখে ‘কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরছেন তাসকিন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সমকাল। প্রতিবেদনটি বলছে, সাধারনত জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি কার্যকর হয়ে থাকে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সে অনুযায়ী প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যেই কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও এবছরের এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন করোনা মহামারির জন্য এই বিলম্ব।
প্রতিবেদনটি সূত্রে আরও জানা গেছেঃ
“বর্তমান পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ বিবেচনায় রেখে নতুন চুক্তির ক্রিকেটার বাছাই প্রক্রিয়া শেষের পথে। সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ চুক্তিতে ফিরছেন বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুনকে। সৌম্য-মিঠুন দলে থাকলেও সেভাবে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। যে ক’টি ম্যাচখেলেছেন তাতে পারফরম্যান্স করতে পারেননি। সে কারণে এ দুই ক্রিকেটার চুক্তিতে থাকছে না বলে জানান নান্নু।“
শ্রীলঙ্কা সিরিজেরদল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে পারফর্মেন্স খারাপ হলেও জায়গা ধরে রেখেছিলেন সৌম্য সরকার। গত ২৩, ২৫ ও ২৮ মে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া তিনটি ওয়ানডের জন্য নির্বাচিত ১৫ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তবে উক্ত সিরিজে মূল একাদশে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। প্রথম দুই ম্যাচের পর একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন লিটন দাস। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ওপেনার হিসেবে সৌম্য সরকারের বদলে সুযোগ পান স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকা মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
এবিষয়ে বিডিনিউজ টিয়েন্টিফোরের একটি প্রতিবেদন বলছে, “প্রথম দুই ম্যাচের মূল স্কোয়াডে ছিলেন না নাঈম। তামিম-লিটনের সঙ্গে বিকল্প ওপেনার হিসেবে তখন ছিলেন সৌম্য সরকার। শেষ ওয়ানডের আগে স্কোয়াডে যোগ করা হয় নাঈমকে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী এগোলে, লিটনের জায়গায় শেষ ওয়ানডের একাদশে দাবিটা আগে থাকে সৌম্যর। কিন্তু মানা হয়নি সেই প্রক্রিয়া।“
এই বিতর্কের জের ধরে নাঈমকে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল বলেছেন,
“সৌম্য নাকি নাঈম, এটা নিয়ে বলতে পারেন অবশ্যই। কিন্তু আমিসহ সবারই মনে হয়েছে, নাঈমের একটি সুযোগ পাওয়া উচিত। সম্প্রতি প্রস্তুতি ম্যাচে ও নেটে যা দেখেছি, সে খুব ভালো ব্যাট করছিল। আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে রান করতে পারেনি। তবে কেবল তো প্রথম ম্যাচ। আশা করি সে আরও সুযোগ পাবে।”
“আমি যেটা চাই, একজন ডানহাতি ওপেনার যদি আমার সঙ্গে থাকে, এটা দলের জন্য ভালো। তাহলে আমাদের সমন্বয় ভালো হয়। তবে আমি যেটা চাই, সেটাই হতে হবে না। অন্য কেউ যদি পারফর্ম করে, সৌম্য বা নাঈম, সেটা যথেষ্ট সুযোগ পাবে, এটা আপনাকে বলতে পারি।”
“লিটন আজকে খেলছে না, তার মানে এই নয় যে সে পুরোপুরি বাদ পড়ে গেছে। আমরা নাঈমকে পরখ করে দেখার একটা সুযোগ খুঁজছিলাম। এ ম্যাচ সে সুযোগ এনে দিয়েছে। আমরা জানি, সৌম্য দলে আছে। তারপরও আমরা নাঈমকে সুযোগ দিয়ে দেখতে চেয়েছি।“
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, সৌম্য সরকার ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন এই দাবিটি মিথ্যা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কিংবা সৌম্য সরকার নিজেও এমন কিছু জানাননি।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?