যা দাবি করা হচ্ছে : দৈনিক কালবেলার একটি ফটোকার্ডের সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানকে পর্দা করতে বললেন ক্রিকেটার তানজিম সাকিব।
অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছে :দৈনিক কালবেলার ফেসবুক পেজ থেকে এমন কোনো কার্ড প্রকাশ করা হয় নি। এছাড়া, ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব তার ভেরিফাইড পেজ থেকে বা অন্য কোনো মাধ্যমে কোনো উপদেষ্টাকে নিয়ে সম্প্রতি কোনো মন্তব্য করেননি।
ছড়িয়ে পড়া এসব কালবেলার লোগোযুক্ত ফটোকার্ডে তারিখ হিসেবে ’১৭ সেপ্টেম্বর,২০২৪’ লেখা রয়েছে। কালবেলা এবং কালবেলা ওয়ার্ল্ড এর ফেসবুক পেজ থেকে এই তারিখে কমপক্ষে ৬০টি ফটোকার্ড প্রকাশ করতে দেখা যায়, তবে তাদের মধ্যে আলোচিত এই কার্ডটি ছিল না।বরং, ১৭ই সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ছবিযুক্ত ভিন্ন একটি ফটোকার্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই কার্ডের শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে জার্মানি। সংযুক্ত খবরের লিংক থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ১০০ কোটি ইউরো (প্রতি ইউরো ১৩৩ টাকা করে হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় ১৩ হাজার ৩০৩ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ৮০০ টাকা) সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামী ১০ বছরে এই সহায়তা দেবে জার্মানি। এর মধ্যে চলতি বছরই বাংলাদেশ পাবে দেড় কোটি ইউরো। বেসরকারি খাত, গবেষণা ইনস্টিটিউট, একাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের মতো সশ্লিষ্টদের সাথে এ নিয়ে আলোচনা ও প্রচারে একমত হয়েছে দুই দেশ।
এই ফটোকার্ডের শিরোনাম পরিবর্তন করে, এবং ইনসেটে ক্রিকেটার তানজিম হাঁসান সাকিব এর একটি বৃত্তাকার ছবি যুক্ত করে নতুন ফটোকার্ড তৈরি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
তদুপরি, তানজিম হাঁসান সাকিব এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে ,কিংবা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে তাঁর এরুপ কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সঙ্গত কারনে ফ্যাক্টওয়াচ এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোকে বিকৃত হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের ফেসবুক প্রফাইল থেকে পুরনো কয়েকটি নারীবিদ্বেষী পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল। এ কারণে তাকে বিভিন্ন সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
No Factcheck schema data available.
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh