বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যোগ দিচ্ছেন তামিম ইকবাল?

19
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যোগ দিচ্ছেন তামিম ইকবাল?
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যোগ দিচ্ছেন তামিম ইকবাল?

Published on: [post_published]

যা দাবি করা হচ্ছে: অবশেষে বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। হাজারো ভক্তের চাপে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তাকে।

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: মিথ্যা দাবি। বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত যে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সে দলে জায়গা হয় নি ওপেনার তামিম ইকবালের। চূড়ান্ত দল ঘোষিত হয়ে গেলে সেটার রদবদল করা কঠিন, আইসিসির অনুমতি সাপেক্ষে বিশেষ বিবেচনায় করা যায়। তেমন কোনো অনুমতির জন্য বাংলাদেশ আবেদন করেছে এমনটা ক্রিকেট বোর্ড কিংবা মূলধারার গণমাধ্যম থেকে জানা যায় নি।

ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান:

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দলে আছেন সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৭ সেপ্টেম্বর  বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল। ২৯ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে তারা।

যেহেতু দাবি করা হয়েছে, বিশ্বকাপে খেলাতে তামিম ইকবালকে আবার দলে অন্তর্ভূক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেক্ষেত্রে বিসিবি কি চাইলেই এটা করতে পারে কিনা জেনে নেয়া যাকঃ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে তাদের চূড়ান্ত স্কোয়াডের তালিকা জমা দিতে বলেছিল। এর পরে আর কোনো পরিবর্তন করা যায় না। তবে একান্তই যদি কোনো দলে কোনো খেলোয়াড়কে পরিবর্তন করতে হয়, তার জন্য আইসিসির পূর্বানুমতি লাগে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আইসিসির কাছে এমন কোনো অনুমতির আবেদন করেছে বলে ঘোষণা দেয়নি। সংবাদ মাধ্যমেও এ নিয়ে কোনো খবর নেই। তাই এমন দাবিকে সত্য হিসেবে দেখার সুযোগও নেই। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দল ঘোষণা নিয়ে বিস্তারিত দেখুন এখানে

এছাড়া তামিম ইকবাল ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বিশ্বকাপ খেলতে না যাবার কারণও ব্যাখা করেছেন। লাইভটি দেখুন এখানে

তাই সার্বিক বিবেচনায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া উক্ত দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.