ভাইরাল ভিডিওটির দৈর্ঘ্য কোথাও ১৭ সেকেন্ড, কোথাও ১৮ সেকেন্ড কোথাওবা ১৯ সেকেন্ড।
ভিডিওতে তারেক রহমানকে একটি ভাষণ দিতে শোনা যায়। সেখানে তারেক রহমান বলেন “একটিলাশেরপরিবর্তেদশটিলাশফেলো।আপনাদেরসকলকেএইশপথনিয়েঘরেফিরেযাওয়ারআহ্বানজানিয়েআজকেরবক্তব্যশেষকরছি।ইনশাআল্লাহআবারআপনাদেরসাথেদেখাহবে।আল্লাহহাফেজ, পাকিস্তানজিন্দাবাদ, বিএনপিজিন্দাবাদ।”
ফ্যাক্টওয়াচেরঅনুসন্ধান
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান থেকে জানা যাচ্ছে ভাইরাল হওয়া তারেক রহমানের ভিডিওটি ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ Bangladesh Nationalist Party-BNP এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় দেশনায়ক তারেক রহমানের বক্তব্য’ শিরোনামে ৪২:২৯ মিনিটের ভিডিও প্রকাশিত হয়। দ্য রয়েল রেসিডেন্স লন্ডন থেকে তারেক রহমান উক্ত বক্তব্য রাখেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে তারেক রহমানের ২০১৭ সালে স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য রাখা ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিলে যায়।
ভাইরাল হওয়া পোস্টে দাবি করা হয়, তারেক রহমান একটি লাশের পরিবর্তে দশটি লাশ ফেলতে বলেছেন।
তারেক রহমানকে মূল ভিডিওর ৩৭ঃ০৮ মিনিট থেকে ৩৭ঃ৪২ মিনিট পর্যন্ত বলতে শোনা যায় “যেক্ষমতায়থেকেসাংবাদিকসাগর–রুনিরহত্যাকেবলতেপারে– সবারবেডরুমপাহারাদেয়াসম্ভবনা।যেক্ষমতায়থেকেবলতেপারে– একটিলাশেরবদলে১০টিলাশফেলো।যারমন্ত্রীবলতেপারে– এসবরাজনৈতিকব্যাপারস্যাপারআলাপকরাযায়না।যারমন্ত্রীবলতেপারেযে, চারহাজারকোটিটাকাএটাকোনোটাকানা।জনগণেরচারহাজারকোটিটাকাখোয়াযাচ্ছেঅথচএটাকোনোটাকানা।সেইদলেররাজনীতিকিএটাকিআরপরিষ্কারকরেবলারদরকারআছে……?”
অর্থ্যৎ এখানে তারেক রহমান মূলত আওয়ামী লীগ সরকার একটি লাশের বদলে ১০টি লাশ ফেলার নির্দেশ দিয়েছে– এমনটি বুঝাতে চেয়েছেন।
তবে মূল ভিডিওটির ৪২ঃ১০ মিনিট থেকে ৪২ঃ২৭ মিনিট পর্যন্ত তারেক রহমানকে বলতে শোনা যায়, “আপনাদেরসকলকেএইশপথনিয়েঘরেফিরেযাওয়ারআহ্বানজানিয়েআজকেরবক্তব্যশেষকরছি।ইনশাআল্লাহ্আবারআপনাদেরসাথেদেখাহবে।আল্লাহ্হাফেজ, বাংলাদেশজিন্দাবাদ, বিএনপিজিন্দাবাদ।“
অর্থাৎ তিনি “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” বলেন নি। “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” বলেছেন।
মূল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে তারেক রহমান ১২ঃ২৬ মিনিট থেকে ইউকে বিএনপির প্রকাশিত বইয়ের পরিচয় দিচ্ছেন এবং পড়ে শোনাচ্ছেন। ভিডিওটির ১৪ঃ৫৬ মিনিটে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পোস্টারে পাকিস্তান জিন্দাবাদ উল্লেখ থাকার বিষয়টি পড়ে শোনান। ধারণা করা যায়, এখান থেকেই পাকিস্তান শব্দটির ভয়েস এডিটিং করে বাংলাদেশের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসব থেকে পরিষ্কার যে, তারেক রহমানের বক্তব্যটি ভয়েসওভার এডিটিং এর মাধ্যমে করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট Rumor Scanner এবং Boom ও ভাইরাল ভিডিওগুলো নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এবং তাদের রিপোর্টেও এগুলোকে ভয়েসওভার এডিটিং বলে দাবি করা হচ্ছে।
Rumor Scanner এবং Boom এর রিপোর্টগুলো দেখুন এখানে, এখানে।
তাছাড়া, ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোর কোন তথ্যসূত্র দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের মূল্ধারার কোন গণমাধ্যমও তারেক রহমানের এমন কোন বক্তব্যের সংবাদ প্রকাশ করেনি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে ভয়েসওভার এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারেক রহমানের বক্তব্য বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়ছে। এজন্য ফ্যাক্টওয়াচ ভিডিওটিকে “বিকৃত” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?