ফেসবুকে একটি ভাইরাল ছবি পাওয়া যাচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ১৪ জুন ‘মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে লন্ডনে তারেক-জোবায়দা দম্পতি গ্রেফতার হয়েছে’ এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় । ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, আল-জাজিরাতে তো নয়ই, বরং আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় কোনো গণমাধ্যমেই এমন সংবাদ প্রকাশিত হয় নি। প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটটি সম্পাদিত। তাই ফ্যাক্টওয়াচ বানানো এই স্ক্রিনশটকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবেরউৎস
১৪ জুন বিকাল ৪টা থেকে ফেসবুকে ‘’Bangladeshi political leader Tarique Rahman and wife Zubaida ‘arrested’ in London’‘ শিরোনামে আল-জাজিরার ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।এরকমকিছুপোস্টদেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
Example of a viral Facebook post
ফ্যাক্টওয়াচঅনুসন্ধান:
ছবিথেকেদেখাযাচ্ছে, মানিলন্ডারিংয়েরঅভিযোগেলন্ডনেতারেক–জোবায়দাদম্পতিগ্রেফতার — আলজাজিরারওয়েবসাইটেএসংবাদটিপ্রকাশিতহবারতারিখ১৪জুন২০২৩।আল–জাজিরারওয়েবসাইটসন্ধানকরেউক্ততারিখেএসংবাদটিপাওয়াযায়নি।পুরোনোতারিখেরসংবাদঅনুসন্ধানকরেওএশিরোনামেরসংবাদটিখুঁজেপাওয়াযায়নি।পুরোনোসংবাদঅনুসন্ধানকরতেগিয়ে২০১৬সালের২১জুলাইপ্রকাশিত ‘Bangladesh : Tarique Rahman jailed for money laundering’ শিরোনামেএকটিপ্রতিবেদনপাওয়াযায়যেখানে২১জুলাই২০১৬সালেবাংলাদেশহাইকোর্টকর্তৃকমানিলন্ডারিংয়েরঅভিযোগেবিএনপিরসাবেকভাইসচেয়ারম্যানতারেকরহমানকেসাতবছরকারাদণ্ডপ্রদানেরখবরপ্রকাশকরাহয়েছিল। তবে ২০০৮ সালে দেশত্যাগের পর অদ্যাবধি লন্ডনে অবস্থান করা তারেক রহমানকে ইংল্যান্ডের পুলিশ গ্রেফতার করে নি।
আল–জাজিরারভেরিফাইডফেসবুকপেইজএবংটুইটারএকাউন্টথেকেওলন্ডনেতারেক–জোবায়দাদম্পতিগ্রেফতার-সংক্রান্তকোনোসংবাদসম্প্রতিপোস্টকরাহয়নি।এদিকেনানাভাবে অনুসন্ধানকরেওস্থানীয়এবংআন্তর্জাতিককোনোগণমাধ্যমেএমনকোনোসংবাদপাওয়া যায় নি।
বিএনপিরভেরিফায়েডফেসবুকপেইজএবংবিএনপিরবর্তমানভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যানতারেকরহমানেরভেরিফায়েডফেসবুকপেইজথেকেওএমনকোনোআপডেটপাওয়াযায় নি। বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও এ ধরনের কোনো সংবাদ বা পোস্ট ১৪ এবং ১৫ জুন ২০২৩ এ দেখা যায় নি।
এতে করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তারেক-জোবায়দা রহমান এর গ্রেফতার-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটটি বানানো। সঙ্গত কারণেফ্যাক্টওয়াচছবিটিকে “মিথ্যা” সাব্যস্তকরছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।