প্রথম আলোর লোগোসহ তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্য সম্পর্কিত ভুয়া তথ্য

11
প্রথম আলোর লোগোসহ তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্য সম্পর্কিত ভুয়া তথ্য প্রথম আলোর লোগোসহ তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্য সম্পর্কিত ভুয়া তথ্য

Published on: [post_published]

 দাবি করা হচ্ছে:  “তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্যকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র” প্রথম আলো এমন শিরোনামে ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে।

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিটি মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র অধিদপ্তর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের আসন্ন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা শুরু করেছে। তবে, সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম তারা প্রকাশ করেনি কারণ, এক্ষেত্রে নাম প্রকাশ করাটা দেশটির আইন বহির্ভূত। তাছাড়া, তারেক রহমান বা পিনাকী ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত  কোনো তথ্য প্রথম আলো বা অন্য কোনো মূলধারার সংবাদমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম আলোর অফিসিয়াল ফেসবুক আকাউন্ট থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এ সংক্রান্ত কোনো  ফটোকার্ড তারা প্রকাশ করেনি।

ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

Image: Example of a post shared on Facebook

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের কিছু নাগরিকদের উপর গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, যাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদের নাম যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি কারণ, ব্যক্তিগত ভিসা বাতিল সহ যাবতীয় ভিসার রেকর্ড মার্কিন আইনের অধীনে গোপন রাখা হয়। যারা এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কবলে পড়েছেন তারা নিজে থেকে যদি নিশ্চিত না করেন, তাহলে বাইরের কারও পক্ষে এ সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে না।

যদিও, ভাইরাল পোষ্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্যকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র”। কিন্তু, তারেক রহমান বা পিনাকী ভট্টাচার্য নিজে থেকে এ ব্যাপারে কোনো কিছু নিশ্চিত করেননি। আবার, আইনের বাইরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেছে কি না মূলধারার সংবাদমাধ্যম থেকে এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীন ভাবে এগুলো প্রচার করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ভাইরাল হওয়া ফটোকার্ডগুলোতে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। কিন্তু, এই দুই তারিখে প্রথম আলো থেকে যতগুলো ফটোকার্ড  প্রকাশ করা হয়েছিল তার মধ্যে ভাইরাল ফটোকার্ডগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, প্রথম আলো তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে গত ৩ অক্টোবর আপলোড করা একটি পোষ্টে নিশ্চিত করে যে, ভাইরাল হওয়া ফটোকার্ডগুলো  প্রথম আলো থেকে প্রকাশিত হয়নি এবং তারা এমন কোনো ফটোকার্ড তৈরিও করেনি।

সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই পোষ্টগুলোকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

No Factcheck schema data available.