শিক্ষিকা খাইরুনের স্বামী মামুনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত?

72
শিক্ষিকা খাইরুনের স্বামী মামুনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত?
শিক্ষিকা খাইরুনের স্বামী মামুনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত?

Published on: [post_published]

“শিক্ষিকা খাইরুনের মৃত্যু: ময়নাতদন্তের পর স্বামী মামুনের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা আদালত!” শিরোনামে একটি নিউজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার হতে দেখা যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচ এই শিরোনামের কোন সত্যতা খুঁজে পায়নি এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে স্বামী মামুন হোসেন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

“শিক্ষিকা খাইরুনের মৃত্যু: ময়নাতদন্তের পর স্বামী মামুনের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা আদালত!” শিরোনামের কয়েকটি নিউজ দেখুন এখ, এখ, এবং এখ

শেয়ারকৃত নিউজগুলোর শিরোনামের সত্যতা খুঁজতে আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি যে নাটোরের এম হক কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে গত ৮ই সেপ্টেম্বর অস্থায়ী জামিনের আদেশ দিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলজার হোসেন এবং ২৩ই সেপ্টেম্বর শুনানির দিন উক্ত জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৫ই অক্টোবর মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। দেখুন ি ইনকি এবং নলি সংবাদ।

গত ১৪ই আগস্ট নাটোরের ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং এই ঘটনায় তার স্বামী মামুন হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার পরপরই একটি নিউজ ভাইরাল হয় যেখানে বলা হয়েছে খাইরুন নাহারের ময়নাতদন্তের পর রিপোর্টে জানা গিয়েছে তার স্বামীই তাকে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে খাইরুন নাহারের শরীরে কোন নির্যাতন বা আঘাতের চিহ্ন মেলেনি এবং শ্বাসরোধেই তার মৃত্যু হয়। রিপোর্টে কোথাও বলা হয়নি মামুন হোসেন খাইরুন নাহারকে হত্যা করেছে। এই বিষয়ে টওয় অনসন রিপোর্টটি দেখুন এখানে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ই ডিসেম্বর শিক্ষিকা খাইরুন নাহার এবং সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন হোসেন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের প্রায় সাত মাস পর গত জুলাই মাসে তাদের বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এটি আলোচিত হয়।

অতএব, আমাদের অনুসন্ধানে শেয়ারকৃত নিউজগুলোর শিরোনামের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং আমরা জানতে পেরেছি যে খাইরুন নাহারের স্বামী বর্তমানে আদালতের আদেশে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে শেয়ারকৃত নিউজগুলোর শিরোনাম “মিথ্যা।”

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.