নাচের ভিডিওটি অভিনেত্রী দীঘির নয় 

33
নাচের ভিডিওটি অভিনেত্রী দীঘির নয় 
নাচের ভিডিওটি অভিনেত্রী দীঘির নয় 

Published on: [post_published]

যা দাবি করা হচ্ছে: আমাদের সেই “কাবুলিওয়ালা”র ছোট্ট দিঘী এখন চিত্রনায়িকা – সম্প্রতি এমন ক্যাপশন সংবলিত একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ভাইরাল ভিডিও এর নাচের দৃশ্যটি অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। 

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: ভিডিওটি বিকৃত। ফেসবুকে শেয়ারকৃত ভিডিওটি মূলত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার তৈরি করা হয়েছে। ভিডিওটিতে নৃত্য পরিবেশনকারী অভিনেত্রী দীঘি নয় বরং ভারতীয় তারকা সানি লিওন। মূল ভিডিওটির একটি দৃশ্যে সানি লিওনের মুখের স্থলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় দীঘি’র মুখমণ্ডল বসিয়ে উক্ত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই ভিডিওটিকে বিকৃত সাব্যস্ত করছে

গুজবের উৎস: শেয়ারকৃত ভাইরাল ভিডিওটি দেখুন এখানেএখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ফেসবুকে শেয়ারকৃত ভিডিওটির  সত্যতা ও যর্থাথতা যাচাইয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ধরে ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান শুরু করে। উক্ত ভিডিওটিতে নৃত্য পরিবেশনকারীর যে অংশটুকু ব্যবহার করা হয়েছে তার সাহায্যে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়।​​ সেখানে গত ০৮ অক্টোবর ২০২৩ এ “জি মিউজিক কোম্পানি (Zee Music Company)”  নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওতে, নাচের যে অংশটুকু ব্যবহার করা হয়েছে সেটি নীতি মোহনের কণ্ঠে গাওয়া ‘মেরা পিয়া ঘর আয়া ২.০’ গানের একটি দৃশ্য। উক্ত ভিডিওটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ভিডিওতে দীঘির যে পোশাক, অঙ্গভঙ্গি, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আনুষঙ্গিক বিষয়বস্তু রয়েছে তার সাথে ভারতীয় হিন্দি গানটির হুবহু মিল রয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওটি আরো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে যে গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তার সাথেও মূল ভিডিওটির কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। এবং সেখানে ভারতীয় আরেকটি হিন্দি গান “জামাল-কাদু“এর কিছু অংশ যোগ করা হয়েছে। 

অর্থ্যাৎ, পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে, উক্ত ভিডিওটিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তায় সম্পাদনা করে সানি লিওনের মুখমণ্ডলের স্থলে ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি’র মুখমণ্ডল বসিয়ে দেয়া হয়েছে এবং অন্য একটি গানও যোগ করা হয়েছে। 

সুতরাং, ভাইরাল ভিডিও এর নৃত্য পরিবেশনকারী ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী দীঘি নয়।

সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওটি “বিকৃত”।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.