সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁবুর ভেতর কাদামাটিতে দুজন ঘুমন্ত শিশুর ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে ছবিটি ফিলিস্তিনের শিশুদের ছবি। কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান কাশিফ এবং জার্মানিভিত্তিক ডয়চে ভেল তাদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে নিরীক্ষা করে ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বলে নিশ্চিত করেছে। তাই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিচ্ছে।
বিভ্রান্তির উৎস
এ বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে ফেসবুকে পোস্টটি ভাইরাল হতে থাকে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সন্ধান করে ফিলিস্তিনের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান কাশিফের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তারা ছবিটি নিরীক্ষা করে এটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বলে মতামত দিয়েছে। গাজার চিত্রসাংবাদিক মোহাম্মদ আল-মাসরি যিনি সর্বপ্রথম ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, তিনি ছবিটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বলে নিশ্চিত করেছেন।
ডয়চে ভেলের একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনেও এ ছবিকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বলা হচ্ছে। তারা ছবিটি পরীক্ষা করে শিশুদের হাতে ও পায়ে (পায়ে শুধুমাত্র চারটি আঙ্গুল, পায়ের আকারের অসামঞ্জস্যতা, হাতের কব্জি ভুল দিকে বাঁকানো ইত্যাদি) শারীরিক বিকৃতি খুঁজে পেয়েছে যা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্যগত ভুল।
ভাইরাল পোস্টে ছবিগুলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বলে উল্লেখ না করায় ফেসবুক ব্যবহারকারীগণ একে সত্যি বলে মনে করছেন। তাই সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।