সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁবুর ভেতর কাদামাটিতে দুজন ঘুমন্ত শিশুর ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে ছবিটি ফিলিস্তিনের শিশুদের ছবি। কিন্তু জার্মানিভিত্তিক ডয়চে ভেল তাদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে নিরীক্ষা করে ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বলে নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও একাধিক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কনটেন্ট শনাক্তকারী ওয়েবসাইট এ ছবিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বলছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিচ্ছে।
ভাইরালছবিটিসম্পর্কেজানতেঅনলাইনেসন্ধানকরে ডয়চেভেলেরএকটিফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে ছবিটিনিরীক্ষাকরেএটিকৃত্তিমবুদ্ধিমত্তারসাহায্যেতৈরিবলেসিদ্ধান্তদেওয়া হয়েছে। তারাছবিটিপরীক্ষাকরেশিশুদেরশারীরিক গঠনেঅসামঞ্জস্যতা (উভয় শিশুর বাম পা অস্বাভাবিকরকম সোজা, ডানদিকের শিশুটির পায়ের দ্বিতীয় আঙ্গুল অস্বাভাবিক বড়, নিখুঁত চামড়া ইত্যাদি)খুঁজেপেয়েছেযাকৃত্তিমবুদ্ধিমত্তারবৈশিষ্ট্যগতভুল।এছাড়াও স্বাভাবিক আলোতে এ ছবির লাইটিং এমন আসা সম্ভব নয় বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের ছবি
কয়েকটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কনটেন্টশনাক্তকারীওয়েবসাইটে (AI or Not, Is It AI)ছবিটিযাচাইকরে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাচ্ছে যে, ছবিটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি।
আগেওকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি গাজার শিশুদের আরেকটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিলো। এ বিষয়ে ফ্যাক্টওয়াচের প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।