কালবেলার ফটোকার্ড এডিট করে মমতাজের নামে ভুয়া বক্তব্য প্রচার

53
কালবেলার ফটোকার্ড এডিট করে মমতাজের নামে ভুয়া বক্তব্য প্রচার
কালবেলার ফটোকার্ড এডিট করে মমতাজের নামে ভুয়া বক্তব্য প্রচার

Published on: [post_published]

সম্প্রতি ফেসবুকে দৈনিক কালবেলার আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডে কণ্ঠশিল্পী ও রাজনীতিবিদ মমতাজ বেগমের একটি বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে পাওয়া যাচ্ছে, মমতাজের এ বক্তব্য ও কালবেলার ফটোকার্ড দুটোই বানোয়াট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থেকে পরাজিত হয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে “সুযোগ বুঝে আমাকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে” এমন মন্তব্য করেন মমতাজ। এই মন্তব্য উল্লেখ করে কালবেলার প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডকে এডিট করে উক্ত ফটোকার্ড তৈরি করা হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিকৃত” আখ্যা দিচ্ছে। 

গুজবের উৎস:

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে পোস্টটি ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে। 

 

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান:

ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪। উক্ত দিনে কালবেলার ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজ সন্ধান করে এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় নি। কিন্তু একই দিনে মমতাজের অপর একটি বক্তব্য-সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রকাশিত হয়েছে কালবেলা থেকে (ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, ওয়েবসাইটে বিস্তারিত সংবাদ দেখুন এখানে)। 

বিস্তারিত সংবাদ থেকে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করে পরাজিত হবার পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ১৫ জানুয়ারি একটি ফেসবুক পোস্ট দেন মমতাজ। মমতাজ বেগমের প্রোফাইলে সন্ধান করে পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে এক জায়গায় তিনি লিখেছেন – যারা কোনোদিনই আমার সুনাম, খ্যাতি, অর্জন, ভালো থাকা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে নাই, তবুও আমি আমার সাধ্যমতো তাদের কে সম্মান সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু লাভ হয়নি! সুযোগ বুঝে ঠিকই আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।

ভুয়া ফটোকার্ডে উল্লেখিত “সুযোগ বুঝে আমাকে খেয়ে ছেড়ে দিয়েছে” এ বক্তব্যটি মমতাজের উক্ত পোস্টসহ তার প্রোফাইলের কোনো পোস্টেই নেই। এছাড়া মূলধারার গণমাধ্যমেও মমতাজ এমন কোনো মন্তব্য করেছেন বলে খুঁজে পাওয়া যায় না।

সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, কালবেলার একটি ফটোকার্ডকে কম্পিউটারে সম্পাদিত করে উক্ত ফটোকার্ডটি বানানো হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিকৃত সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.