সম্প্রতি ফেসবুকে দৈনিক ডেইলি স্টারের আদলে বানানো একটি ফটোকার্ডে ফিলিস্তিনের শান্তি রক্ষা বিষয়ক এজেণ্ডা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি উক্তি পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে ফটোকার্ডটি ডেইলি স্টার বা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায় নি। এছাড়া বিএনপি এবং বিএনপি-সংশ্লিষ্ট ভেরিফাইড ফেসবুক পেজগুলোতে এমন কোনো বিবৃতি খুঁজে পাওয়া যায় নি। ডেইলি স্টার ইতোমধ্যে তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জানিয়েছে ফটোকার্ডটি ভুয়া এবং তাদের পক্ষ থেকে পোস্ট করা হয় নি। সুতরাং ফ্যাক্টওয়াচ এ ছবিকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
ফটোকার্ডেবলা হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরবলেছেন – “আপাতত ফিলিস্তিনের শান্তি রক্ষায় দাবি জানানো আমাদের এজেন্ডায় নেই, আমাদের সকল মনোযোগ এক দফা দাবি আন্দোলনে“। ফটোকার্ডটিপ্রকাশেরতারিখলেখারয়েছে৮ অক্টোবর, ২০২৩।
ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইট এবং অফিশিয়ালফেসবুকপেইজেউক্ততারিখএবংসাম্প্রতিকতারিখেরসংবাদসন্ধানকরেএমনকোনোফটোকার্ডবাসংবাদপাওয়াযায়নি।ডেইলি স্টার তাদের ফেসবুকপেইজ থেকে ইতোমধ্যে জানিয়েছে তাদের নামে বানানো এই ফটোকার্ডটি ভুয়া, এমন কোনো ফটোকার্ড তাদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয় নি।
ফিলিস্তিনের শান্তিরক্ষার প্রসঙ্গটি এসেছে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের জাতীয়তাবাদী সশস্ত্র দল হামাসের ইসরায়েল আক্রমণ এবং ফলশ্রুতিতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ থেকে। গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে ৭ তারিখ থেকে অদ্যাবধি পিটার হাসের সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কোনোপ্রকার বৈঠক হয় নি। তাছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেছেন এমনটিও গণমাধ্যমে পাওয়া যায় না।
এদিকে বিএনপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ, বিএনপির ভেরিফাইড মিডিয়া সেল পেইজ এবং বিএনপি সমর্থক অন্যান্য ফেসবুক পেইজেও মির্জা ফখরুলের এমন কোনো বিবৃতি পাওয়া যায় নি।
তাইসঙ্গতকারণেফ্যাক্টওয়াচএছবিকেমিথ্যাসাব্যস্তকরছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।