তুরস্ক-সিরিয়া যুদ্ধের ভিডিওকে ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার ভিডিও দাবি

56
তুরস্ক-সিরিয়া যুদ্ধের ভিডিওকে ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার ভিডিও দাবি
তুরস্ক-সিরিয়া যুদ্ধের ভিডিওকে ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার ভিডিও দাবি

Published on: [post_published]

গত ১৪ এপ্রিল ২০২৪ এ ইরান কর্তৃক ইসরায়েল অভিমুখে মিসাইল এবং ড্রোন হামলার পর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যার ক্যাপশন পড়ে মনে হচ্ছে এটি ঐ আলোচিত হামলার ভিডিও। তবে ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান করে দেখেছে উক্ত ভিডিওটি ২০২০ সালে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে আসাদ সরকারের হামলার বিরুদ্ধে তুর্কি বাহিনী কর্তৃক পাল্টা হামলার সময় ধারণ করা হয়েছিল। তুর্কি সংবাদপত্র ডেইলি সাবাহ’র বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট দাবিকে “বিভ্রান্তিকর” বলে সাব্যস্ত করছে। 

এমন কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের ভিডিও কিনা সেটি যাচাই করতে আমরা উক্ত ভিডিও থেকে কিছু স্ক্রিনশট নিয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করি। এতে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ (Daily Sabah) এবং এনসোনহেবার (Ensonhaber) এর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে গত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ এ প্রকাশিত দুটো ভিডিও ক্লিপ খুঁজে পাওয়া গেছে, যেগুলোর সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত আলোচিত ভিডিওটির বেশ মিল রয়েছে। উক্ত হ্যান্ডেলগুলো কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিওর ক্যাপশন পড়ে জানা গেছে, সেগুলো ২০২০ সালে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে আসাদ সরকারের হামলার বিরুদ্ধে তুর্কি বাহিনীর পাল্টা হামলার সময় ধারণকৃত ভিডিও। অর্থাৎ, চার বছরের পুরানো একটি ঘটনার ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে।

এছাড়া, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাস কর্তৃক ইসরায়েল অভিমুখে রকেট হামলা চালানোর পর ঐ একই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়েছিল যে এটি সেই সময়কার ভিডিও। তবে এএফপি ফ্যাক্টচেক উক্ত দাবিটিকে মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন করেছিল। এএফপি’র ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে। 

অতএব, উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। বরং চার বছরের পুরানো তুরস্ক এবং সিরিয়ার মধ্যকার সংঘাতের একটি ভিডিও।

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট দাবিকে বিভ্রান্তিকর বলে সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.