বাসে আগুন দেয়ার ভিডিওটি কমপক্ষে চার বছর আগের     

48
বাসে আগুন দেয়ার ভিডিওটি কমপক্ষে চার বছর আগের     
বাসে আগুন দেয়ার ভিডিওটি কমপক্ষে চার বছর আগের     

Published on: [post_published]

গত ২৯ জুলাই শনিবার বাসে আগুন দেয়াকে ঘিরে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, বাসে আগুন দেয়ার এই ঘটনায় জড়িত ব্যাক্তি ছাত্রলীগের কর্মী। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ভিডিওটি ২০১৯ সাল কিংবা তারও আগের। অর্থ্যাৎ, ভাইরাল ক্যাপশনে ঘটনাটিকে গতকালের দাবি করা হলেও, এটি কমপক্ষে চার বছর পুরনো ঘটনা। পুরানো ভিডিও নতুন করে শেয়ার করার কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এদের “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করছে।

 

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচ এর অনুসন্ধান:

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সাহায্যে অনুসন্ধান করা হলে বিস্তারিত কিছু খুঁজে পাওয়া যায় নি। এছাড়া ভিডিওর ভিতরে কোথাও কোনো সময়কাল উল্লেখ করা হয় নি। পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে অনুসন্ধান করা হলে, এই ভিডিওটি ২০১৯ সালে সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়। ২০ মার্চ, ২০১৯ এ প্রকাশিত এই ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, “ছাত্র সেজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে মিসে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সময় হাতে নাতে ধরা খেল এই ছাত্রলীগ কর্মী”।

Image: Facebook post from 20 March 2019 (Left), Viral FB post in July 2023 (Right).

 

তবে সে সময়কার এই ভিডিওটি নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না যে ভিডিওর দাবিটি সত্য কি না।

এছাড়া ২০১৯ এ প্রকাশিত একই ভিডিওটি নিয়ে আরোও কয়টি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই, ২০২৩ এ ঢাকায় বাস পোড়ানোর খবর পাওয়া যায়। বিডিনিউজ ২৪ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, “শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সংঘাতে আহত হয়েছেন ডজনখানেক ব্যক্তি, পোড়ানো হয়েছে অন্তত তিনটি বাস, ভাংচুর হয়েছে আরও গাড়ি”।

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বাস পোড়ানোর ঘটনা ঘটলেও এর পিছনে দায়ী কে তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায় নি।

অর্থ্যাৎ, ২০১৯ এ প্রকাশিত ভিডিওটির প্রেক্ষাপট নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও এটি নিশ্চিত যে সেটি সাম্প্রতিক নয়। ভাইরাল এসব ফেসবুক পোস্টে উক্ত ভিডিওটিকে গত শনিবারের বাস পোড়ানোর দাবি করা হলেও মূলত এই ভিডিওটি কমপক্ষে চার বছর আগ থেকেই সামাজিক মাধ্যমে আছে।

 তাই, ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.