মালদ্বীপে ইন্ডিয়া-বয়কট ক্যাম্পেইনের একটি প্রতিবাদ মিছিলের ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে ফেসবুকে যেখানে একে সাম্প্রতিক সময়ের বলে দাবি করা হচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এটি সাম্প্রতিক নয়, বরং গত বছরের মাঝামাঝি সময়কার মালদ্বীপের ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনের একটি প্রতিবাদ মিছিলের ভিডিও। পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে প্রচার করায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিচ্ছে।
বিভ্রান্তির উৎস
জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফেসবুকে পোস্টটি ভাইরাল হয়। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
ইন্টারনেটে ভিডিওটির উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, Razzan নামক একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে গত বছরের ২৯ জুন একই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিলো। ভিডিওতে তিনজন ব্যক্তিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি মোদীর মুখোশ পরে এবং ইন্ডিয়া আউট লেখা পতাকা নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়।
ভারতীয় পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমসে গত বছর ১ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের ঈদ-উল-আজহার সময় মালদ্বীপে বিরোধী দলের ভারত-হঠাও (ইন্ডিয়া আউট) ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মোদীর মুখোশ পরে প্রতিবাদ মিছিলটি এ ক্যাম্পেইনের অংশ। সে সময় মালদ্বীপেররাষ্ট্রপতিছিলেনইব্রাহিমমোহাম্মদসোলিহ।তারসরকার ‘ইন্ডিয়াফার্স্ট‘ নীতিঅনুসরণকরেছে। পরবর্তীতে ‘ইন্ডিয়াআউট‘ স্লোগানদিয়েনির্বাচনে জিতে ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি হন মোহাম্মদ মুইজ্জু। ভারতেরসঙ্গেমালদ্বীপেরসম্পর্কদীর্ঘদিনের হলেও মোহাম্মদ মুইজ্জু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর দু’দেশের সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতি হয়েছে।
বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও প্রোফাইল থেকে গত বছরের এই পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবি করে শেয়ার করা হচ্ছে। তবে উক্ত পোস্টে মোদীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবিটি সত্য।
সুতরাং পুরোনো ভিডিও প্রচার করে ফেসবুকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।