ভারতে নারী নির্যাতনের ভিডিও নিয়ে বাংলাদেশে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা

30
ভারতে নারী নির্যাতনের ভিডিও নিয়ে বাংলাদেশে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা
ভারতে নারী নির্যাতনের ভিডিও নিয়ে বাংলাদেশে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা

সম্প্রতি গাছের সাথে হাত বেঁধে একজন নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। ক্যাপশনে ইঙ্গিত করা হয়েছে এটি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ের ঘটনা। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, বরং ভারতের।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনেক লোকের ভীড়ের মধ্যে গাছের সাথে হাত বাঁধা একজন নারীকে পেটাচ্ছে একজন যুবক। “এই সংস্কার গুলো যেন মনে থাকে” – এমন ক্যাপশনে বেশিরভাগ পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যে Mizan Uddin নামক একজনের পোস্ট শেয়ার হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার বারেরও বেশি।

কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

রিভার্স ইমেজ সার্চে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে থেকে ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে যুক্ত ছবির সাথে আলোচ্য ভিডিও হুবহু মিলে যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, অপর পুরুষের সাথে পালিয়ে যাওয়ার শাস্তি হিসেবে ভারতের উত্তর প্রদেশের বুলন্দ শহরের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এক বিবাহিত নারীকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়। অন্য গ্রাম থেকে ফিরিয়ে আনার পর পঞ্চায়েতের আদেশে তার স্বামী তাকে এভাবে প্রকাশ্যে নির্যাতন করে। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর পুলিশ নির্যাতনকারী স্বামী, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করে।

সেসময় হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভির মতো অন্যান্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও এ ঘটনার ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো।

পরবর্তী অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে মুসলিম নির্যাতনের ভিডিও দাবিতে একই ভিডিও ভারতের সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিলো। এ প্রেক্ষিতে সেসময় এএফপি ফ্যাক্টচেক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, বুলেন্দ শহরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ এএফপি ফ্যাক্টচেককে নিশ্চিত করেছেন যে নির্যাতনের শিকার নারী মুসলিম নন, বরং হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অর্থাৎ এটি সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের ঘটনাও নয়।

তাই ভারতের ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে ফেসবুকে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় ফ্যাক্টওয়াচ এসব পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

No Factcheck schema data available.

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh