বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে টিকটক?

18
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে টিকটক? বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে টিকটক?

Published on: [post_published]

যা দাবি করা হয়েছে: বাংলাদেশ থেকে চিরতরে ব্যান করা হচ্ছে জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক। জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড।

অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছে: দাবিটি মিথ্যা। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে,
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরণের কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। তাছাড়া বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড” নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কোন দপ্তর বা সংস্থার ফেসবুক আইডি বা পেইজ নেই। মূলত অ্যাপ বন্ধের অধিকার রাখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তবে সেখান থেকেও টিকটক অ্যাপ বন্ধের বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমেও কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি। ফলে এই দাবিকে ফ্যাক্টওয়াচ মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দাবিটির সত্যতা জানতে বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড ধরে গুগলে সার্চ করা হয়। তবে তার আগে এমন দাবির উৎস নিয়ে অনুসন্ধান করে ফ্যাক্টওয়াচযার মাধ্যমে দেখা যায়, “বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড” নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে টিকটক অ্যাপ বন্ধ হচ্ছে, এমন দাবিটি করা হয়। এটি পরবর্তীতে ব্যাপক হারে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পেজটি তথ্যসূত্র হিসেবে মন্তব্যের ঘরে ইন্ডিয়ার একটি সংবাদ প্রতিবেদনের কিছু অংশ তুলে ধরে, যদিও তার সাথে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

“বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড” নামক ফেসবুক পেজ থেকে পোস্টটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে যে, “বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড” নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কোন দপ্তর/সংস্থার ফেসবুক আইডি বা পেজ নেই। বিবৃতিটি দেখুন এখানে। প্রসঙ্গত,  কোনো অ্যাপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় নেয় না। বরং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কোনো অ্যাপ বন্ধ বা চালু করার অধিকার রাখে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে টিকটক অ্যাপ বন্ধের বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন বা কোনো প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি। বলা বাহুল্য, ২০২০ সালে টিকটকসহ ৫৯ চীনা অ্যাপ বন্ধ করে ভারত। তা নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। বিস্তারিত পড়ুন এখানে। বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে টিকটক অ্যাপ বন্ধ বিষয়ে কোনো আলোচনা উঠলে তা গণমাধ্যমে আসার কথা। অথচ তেমনটি দেখা যায়নি।

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ বাংলাদেশে টিকটক নিষিদ্ধ করার দাবিটিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.