“মেট্রোলাইনে ট্রাক” – ক্লিকবেইট শিরোনামে সংবাদ প্রচার 

17
“মেট্রোলাইনে ট্রাক” – ক্লিকবেইট শিরোনামে সংবাদ প্রচার  “মেট্রোলাইনে ট্রাক” – ক্লিকবেইট শিরোনামে সংবাদ প্রচার 

Published on: [post_published]

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মেট্রোলাইনে ট্রাক সাদৃশ্য একটি যানবাহন চলার কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিগুলো দেখে জনসাধারণ প্রশ্ন তুলেছেন মেট্রো লাইনে ট্রাক চলে কিভাবে, বাংলাদেশ বলে কি সবই সম্ভব?  যদিও অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এটি আরআরভি বা রুলার কাম রেল ভেহিকল। মেট্রোরেলের লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজে এটিকে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যানবাহনটিকে মেট্রোট্রাক হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এখানে এবং এখানে।  

গুজবের সূত্রপাত: 

২৬ ফেব্রিয়ারি ২০২৪ তারিখে সময় টিভি থেকে “মেট্রো লাইনে ট্রাক!” শিরোনামে একটি ফটোকার্ড প্রকাশিত হয়। ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবিটিতে দেখা যায়, মেট্রোরেল লাইনের উপরে ট্রাক সাদৃশ্য একটি বাহন। পরবর্তীতে সময় টিভি থেকে প্রকাশিত ফটোকার্ড এবং শিরোনামটি ফেসবুকে ব্যাপক হারে ভাইরাল হতে থাকে। সাধারণ ব্যবহারকারীরা বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন। কেননা এমন শিরোনাম ও ছবি দেখে তারা ভেবেছেন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে মেট্রোলাইনে ট্রাক উঠেছে। তাঁদের মন্তব্যগুলো দেখে এমনটিই প্রতীয়মান হয়েছে। 

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান: 

ফেসবুকে তুমুল আলোচিত এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলে সার্চ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, মেট্রোলাইনে যে ট্রাক চলছে তা আরআরভি। মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টদের বর্ণনা অনুযায়ী, এটি রুলার কাম রেল ভেহিকল। ওসিএস অর্থাৎ ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রতি শুক্রবার বাহনটি পুরো মেট্রোলাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যবহার হয়। বিস্তারিত জানতে পারবেন এখানে।  

উল্লেখ্য, মেট্রোলাইনের উপরে দেখতে পাওয়া ট্রাকটি জুম করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাচ্ছে রেল লাইনের উপরে চলার জন্য এটিতে সুনির্দিষ্ট চাকা লাগানো হয়েছে। অর্থাৎ এই ট্রাকটি মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে।

বলাবাহুল্য, মেট্রোলাইনে ট্রাক দেখে এবং গণমাধ্যমের ক্লিকবেইট ক্যাপশন পড়ে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হয়ে যে ধরণের বিরূপ মন্তব্য করেছেন তা নিচে দেখানো হলো:

 সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সংবাদটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। 

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.