শরবতে মেশানো হচ্ছে গোবর” – দাবিতে বিভ্রান্তিকর ভিডিও প্রচার

96
শরবতে মেশানো হচ্ছে গোবর” – দাবিতে বিভ্রান্তিকর ভিডিও প্রচার
শরবতে মেশানো হচ্ছে গোবর” – দাবিতে বিভ্রান্তিকর ভিডিও প্রচার

Published on: [post_published]

ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে যে, ভারতে মিষ্টির দোকানগুলোতে গোবর মিশিয়ে শরবত তৈরি করা হচ্ছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে শরবতে গোবর মেশানোর ব্যাপার এ মানুষের বিরূপ মন্তব্য, ভারতীয় পণ্য বয়কট এবং হিন্দুদের দোকান থেকে কিছু না কেনার আহ্বfন পোষ্ট এর কমেন্টে লক্ষ্য করা যায়। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যায় শরবতে মেশানো গোবরসদৃশ বস্তুটি আসলে ভাং, যা গাঁজার পাতা দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় এবং এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় শরবত।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্ট দেখুন  এখানে,এখানে ,এখানে ,এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচ এর অনুসন্ধান

ভাইরাল পোস্টটি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গেলে “jatupol singkru” নামক ইউটিউব চ্যানেলে ‘Bhang Making​ Ancient Indian​ Drink’ ক্যাপশনে ছড়িয়ে পড়া ​​ভিডিও টি খুঁজে পাওয়া যায় যা জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ এ প্রকাশিত হয়েছিলো।

ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে, ভিডিওটি ভারতের একটি শরবতের দোকানে ধারণকৃত বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, ভাং গাঁজার পাতা দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বানানো একধরনের শরবত যা ভারতে  বেশ জনপ্রিয় এবং এর সাথে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিও জড়িত। হোলি এবং মহা শিবরাত্রি তে এই বিশেষ শরবত এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে বলে জানা যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির ক্যাপশন এবং ফুটেজ নিয়ে অনুসন্ধান এর সময় ৭১ টেলিভিশিন এর একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে বিভ্রান্তিকর এই  ভিডিওটির সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হয়।

সুতরাং, নিশ্চিতভাবেই দেখা যাচ্ছে ভিডিওটি ভারতের একটি ঐতিহ্যবাহী শরবত প্রস্তুত এর যার সাথে গোবর এর কোন সম্পৃক্ততা নেই।

ভাইরাল এসব পোস্টে সরাসরি গোবর মেশানোর কথা উল্লেখ না করলেও সেখানে কমেন্টে অনেকেই মনে করছেন যে এটি গোবর মেশানোরই ভিডিও। মানুষের এমন বিভ্রান্তির কিছু নমুনাঃ



অতএব বিষয়টি পরিষ্কার যে, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং ভারতের। আর সেখানে গোবর মেশানো হচ্ছে না।

তাই ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল ভিডিওটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.